ল্যাপটপ ও ডেস্কটপ কম্পিউটার আমদানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ভারত। স্থানীয় উৎপাদনকে এগিয়ে নিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। আজ বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ভারত সরকার। তবে বৈধ একটি লাইসেন্সের বিপরীতে বিধিনিষেধের আওতায় থাকা পণ্য আমদানি করার অনুমতি দেওয়া হবে। এদিকে এপ্রিল-জুনে ভারত ১৯ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের ইলেকট্রিক পণ্য আমদানি করে। এর মধ্যে রয়েছে ল্যাপটপণ্ডট্যাবলেটস ও পারসোনাল কম্পিউটার, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ বেশি। মূলত দেশটির মোট আমদানির ৭ থেকে ১০ শতাংশ ইলেকট্রনিক্স পণ্য। এ বিষয়ে ইলেকট্রনিক্সখাতের সংস্থা ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইনফরমেশন টেকনোলজির সাবেক মহাপরিচালক আলি আখতার জাফরি বলেছেন, দেশের স্থানীয় ইলেকট্রিক্স পণ্য উৎপাদকদের উৎসাহিত করতেই সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারত ইলেকট্রনিক্সসহ দুই ডজনেরও বেশি খাতে উৎপাদন সম্পর্কিত প্রণোদনা দিয়ে স্থানীয় উৎপাদনকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। এদিকে কোম্পানিগুলোর জন্য প্রণোদনাবিষয়ক আবেদনের সময়সীমাও বাড়িয়েছে ভারত। এই প্রোগ্রামের আওতায় দুই বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত প্রণোদনা দেওয়া হবে। মূলত বড় বড় আইটি কোম্পানিকে আকৃষ্ট করতেই এই পদক্ষেপ। বৈশ্বিক ইলেকট্রনিক্স পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে পাওয়ার হাউজে পরিণত হতে চায় দেশটি। ২০২৬ সালের মধ্যে এ ক্ষেত্রে বার্ষিক উৎপাদন ৩০০ বিলিয়ন ডলার করার লক্ষ্য বিশ্বের পঞ্চম অর্থনীতির দেশ ভারতের। সম্প্রতি নন-বাসমতি সাদা চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত। মূলত অভ্যন্তরীণ বাজারে চালের দাম স্থিতিশীল রাখতে এমন উদ্যোগ নিয়েছে দেশটি। এর প্রভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় ভারতীয় চালের সংকট দেখা দেয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, মানুষ আতঙ্কিত হয়ে চাল কিনছেন। যার প্রভাবে বেড়ে গেছে এ পণ্যের দামও।