ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ডেসা’র সাবেক কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান ও স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি সরকারি খাল দখল করে বাড়ি নির্মাণ করেছেন। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা। দুর্ভোগে পড়েছেন কয়েকশত পরিবার। এরই প্রতিবাদে গত বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার অরূয়াইলে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন ইউপি চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় বাসিন্দারা। ভুক্তভোগীরা জানায়, দখলদাররা বিএডিসি অফিস সংলগ্ন সীমানা খাল দখল করে বাড়ি নির্মাণ করেছে। দাসপাড়ায় হিন্দু ও মুসলমান সম্প্রদায়ের গুণঘাট এলাকায় চলাচলের রাস্তা দখর করেছে। সীমানা খালটি অরূয়াইল গ্রামকে দুইভাগে বিভক্ত করে চেত্রা নদীতে পড়েছে। গোটা গ্রামের বৃষ্টির পানি, নালা নর্দমার ময়লা এই খাল দিয়ে নিস্কাশন হয়। এই খালটির সিংহভাগই দখলদারদের দখলে। ফলে ওই খালের মুখ দিয়ে পানি নিস্কাশন হচ্ছে না। চলমান বর্ষায় জলাবদ্ধতার শঙ্কায় রয়েছেন ৩ শতাধিক পরিবার। খালের মুখ কেটে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করা জরূরী। ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, সিদ্দিক সাহেব সীমানা খালটি দখল করে গ্রামবাসীকে দূর্ভোগে ফেলেছেন। এই দখলের বিরূদ্ধে কথা বললেই মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে হয়রানি করেন। তাই জনস্বার্থে খালটি উদ্ধারে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন চেয়ারম্যান। মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে বক্তব্য রাখেন- ইউপি আওয়ামী লীগের সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম গাজী, ইউপি সদস্য গাজী মাসুক মিয়া, ইউপি যুবলীগের আহ্বায়ক গাজী বোরহান উদ্দিন, ব্রাদার্স হাউজিং-এর পরিচালক মোখলেছুর রহমান ও হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষে সুশীল গোপ প্রমূখ। বক্তারা বলেন, এই খালটি দিয়ে একসময় শতশত নৌকা চলাচল করতো। এখন ১টি নৌকাই প্রবেশ করে না। সিদ্দিকুর রহমান বলেন, মানববন্ধনে আমার বিরূদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ ও উদ্যেশ্য প্রণোদিত। সীমানা খালে চেয়ারম্যান আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন। ইউএনও ও এসি ল্যান্ডকে পরিমাপ করেছেন। আমার দখলে খালের কোন জায়গা পাননি।