বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে আসন্ন চাষিরা আমনের জমিতে সেচ নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন। একদিকে ভরা মৌসুমেও বৃষ্টি না হওয়া, অপর দিকে সেচ পাম্পে বিদ্যুৎ সংযোগ না পাওয়ায় দেড় হাজার হেক্টর জমি অনাবাদি থাকার আশঙ্কায় কপালে দুশ্চিন্তার ভাজ দেখা দিয়েছে। চেষ্টা করেও বুধবার পর্যন্ত সেচ পাম্পে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে কোনো সুরাহা না হওয়ায় দুশ্চিন্তার মূল কারণ কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে চাষিদের।
স্হানীয় সুএে জানা গেছে, ১৪ জুলাই শুক্রবার দুপুরে সেচ পাম্পে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে একজন মানুষ সহ ৬ মহিষের মৃত্যু হয়। এ ঘটনা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। সাধারণ মানুষের মনে নাড়া দেয় ঘটনাটি। এ ঘটনায় কৃষকের কপাল পুড়লেও সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীদের কোন শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। সংশ্লিষ্টরা সবাই বহাল তবিয়তেই আছেন। তবে সেচ পাম্প মালিকদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হলেও, কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় হতবাক এলাকাবাসী। সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় আমন চাষীরা হতবাক বিস্মিত হয়েছেন। সাধারণ সেচ পাম্প মালিকরা বলছেন, জড়িত বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের কিছুই হলো না, উল্টো নিরীহ চাষীদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষ অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। পাম্পে পুনরায় বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার জন্য কর্মকর্তাদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরেও সংযোগ পাননি। এরকম সেচ পাম্প মালিক রয়েছেন ৫১জন। পুনরায় সংযোগ না পেয়ে সেচ পাম্প মালিক গণ দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। দেড় হাজার হেক্টর আমনের জমিতে আবাদ করা নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন। আমনের আবাদ না করা গেলে সংসার কেমনে চলবে ভেবে কুল কিনারা পাঁচ্ছেন না। বহু বছর আগে সেচ পাম্পে বিদ্যুৎ সংযোগ দিলেও এখন দিতে বাঁধা কোথায়? আমাদেরকে সংযোগ তারাতো এমনি এমনি দেয়নি। সংযোগ দেওয়ার সময় অনিয়ম থাকলেও তখন অনিয়ম ধরা হলো না কেন? ভরা মৌসুমে এসে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় আমরা হতবাক। সদর ইউনিয়নে পারতিতপরল গ্রামের সুরুজ মেম্বার বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে আমার সেচ পাম্পে সংযোগ দেওয়া হয়েছিলো। এখন সেটি বিচ্ছিন্ন করায় প্রায় ৩০ বিঘা জমিতে আমনের আবাদ করা নিয়ে অনিশ্চয়তার পড়েছে। ফুলবাড়ি ইউনিয়নের কাটাখালি গ্রামের সেচ পাম্প মালিক আবেদ আলী বলেন, আমার লাইন কাটা ঠিক হয়নি। আমার সেচ পাম্পের সংযোগ ৮ বছর আগে নেওয়া। কি কারণে এ লাইন কাটলো আমার বুজে আসছে না। এজন্য আমরা বুধবার ইউ এন ও বরাবর স্মারক লিপিও দিয়েছি। এছাড়াও উপজেলা চেয়্যারম্যানকে ও বলেছি। কোনো কাজ হচ্ছে না। যতই দিন যাচ্ছে, ততই চিন্তায় আমাদের ঘুম ধরছে না। সংযোগে কোন ত্রুটি থাকলে মৌসুম পরে দেখা যাবে, এখন সংযোগ দেয়া হোক।
এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুতের সারিয়াকান্দিস্হ ডি জি এম শফিউদ্দিন আহমদ বলেন, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন কারীদের সাথে দেন দরবার চলছে। যদি দেওয়া শর্তে তারা রাজি থাকে, তবে খুব শীঘ্রই সংযোগ দেয়া সম্ভব হবে।