সৈয়দপুরে এখনো এক কেজি কাঁচা মরিচের দাম দুইশ থেকে দুইশ বিশ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শহরের বাইপাসে পাইকারী বাজারে এক কেজি কাঁচা মরিচের দাম দুইশ টাকার কমে বিক্রি হলেও শহরের খুচরা বাজারে এর দাম নেয়া হচ্ছে কেজি প্রতি দুইশ টাকা থেকে দুইশ বিশ টাকা পর্যন্ত। কোন কোন ব্যবসায়ি নিজের ইচ্ছেমত দাম নিয়ে থাকে ক্রেতাদের কাছ থেকে এমন অভিযোগও রয়েছে অনেকের বিরুদ্ধে।
সৈয়দপুর কাঁচামাল ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি জয়নুল হক জানান, বাজারে মরিচের সরবরাহ বেশী থাকলে দাম কমে আসে। আর সরবরাহ কম হলে দাম বাড়ে। এবছর বাজারে কাঁচা মরিচের দাম ছিল আকাশ ছোঁয়া। মরিচের দাম এত বেশী হবে যা আমরা কল্পনাও করতে পারি নাই। এক কেজি মরিচের দাম চারশ টাকার ওপরে বিক্রি করেছি। আবার কোন কোন ক্রেতা মরিচ কেনা থেকে বিরত ছিল তাও জেনেছি। তিনি বলেন সৈয়দপুরের বাজারে কমতে শুরু করেছে দেশী কাঁচা মরিচের দাম। গত সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে প্রতিকেজিতে দাম কমেছে ১শ টাকা। আর খুচরা বাজারে ৯০ টাকা। সৈয়দপুর কাঁচা মালের আড়ত শহরের বাইপাসে গিয়ে দেখা যায় দামের এ দৃশ্য। আড়ৎদাররা মরিচের কেজি বিক্রি করছেন ২শ টাকা। আবার কেউ কেউ ১০ টাকা কমেও বিক্রি করতে দেখা যায়। পাইকারী বাজারে এ দাম হলেও খুচরা বাজারে দাম নেয়া হয়ে থাকে অনেক বেশী। তারা কেজিতে বাড়তি দাম নিচ্ছেন ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা বেশী। যে মরিচ গত সপ্তাহে ছিল ২৫০ টাকা বা ৩শ টাকা সে মরিচ আজ কমে হয়েছে ২শ টাকা।
ক্রেতা মমিনুল ইসলাম বলেন, গত সপ্তাহের চেয়ে কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে ৮০ টাকা কমেছে। গত সপ্তাহে ২৫০ গ্রাম কাঁচা মরিচ কিনেছি ৫০ টাকা দিয়ে। আর আজ কিনলাম ৪০ টাকা। তবে মরিচের কেজি ২০ টাকা হওয়া দরকার। এবার মরিচের দাম বেশী হওয়ায় অনেকে মরিচ কেনা ছেড়ে দিয়েছেন।
আরেক ক্রেতা উজ্জ্বল জানান, কয়েক সপ্তাহ থেকে কাঁচা মরিচ কিনছি ২শ টাকার ওপরে। বাজারে এলে দাম দেখে অবাক হয়ে যাই। এ যেন কমেও কমছে না মরিচের দাম।
রেলওয়ে গেট বাজারের খুচরা কাঁচা মরিচ বিক্রেতা বাবু বলেন, কাঁচা পণ্যের বাজারের কোন ঠিক নেই। কখনো কমে আবার কখনো বাড়ে। যখন যে দাম যায় আমরা তার থেকে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা লাভ রেখে বিক্রি করি। কারণ অনেক সময় কাঁচা মরিচ পচে নষ্ট হয়ে যায়। আবার অবিক্রিত থাকায় শুকিয়ে ওজন কমে যায়। তখন আমদের লোকসান গুনতে হয়।
সৈয়দপুর কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ি মালেক জানান, এখন বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ বেড়েছে। তাই দাম ৪শ টাকা থেকে ২শ টাকায় নেমেছে। সরবরাহ যদি বেশী হয় তাহলে দাম আরো কমবে।
ব্যবসায়ি আজিজুল বলেন গত সপ্তাহে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ কৃষকদের কাছ থেকেই ১৮০ টাকা কেজি দরে কিনতে হয়েছে। আর বিক্রি করেছি ২০০ টাকা কেজি দরে। শুক্রবার ২শ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি।