চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে বেড়েছে চুরির প্রবণতা। বুধবার দিবাগত রাতে এক মহল্লা থেকে একই রাতে ৫ টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। একদিকে সম্পদ অন্যদিকে আদরের পোষাপ্রাণী হারিয়ে অনেকটাই বাকরুদ্ধ কৃষক-কৃষাণীরা। উপজেলার রূপসা উত্তর ইউনিয়নের সরদারপাড়া, গাব্দেরগাও গ্রামে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে গরু চুরির এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে জানা যায়, গাব্দেরগাঁও গ্রামের কৃষাণী খতেজা বেগমের ২ টি গরু, সরদারপাড়া এলাকার বেপারী বাড়ির নুরুল হকের ২ টি গরু ও মো. মিলনের ১টি গরু একই রাতে চুরি হয়ে যায়। সব গুলো চুরির ঘটনা আধা কিলো দূরত্বের বিতর সংঘঠিত হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষাণী খতেজা বেগম বলেন, আমার স্বামী অসুস্থ্যবস্থায় বাসায় পড়ে আছে। গরুর দুধ বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতাম। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি আরও বলেন, আমি এখন নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমার গরুগুলোই সম্ভল ছিল।
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক নুরুল হক বলেন, রাত ২ টা পর্যন্ত আমার গরু গুলো গোয়ালে ছিল, ভোররাতে উঠে দেখি গরু গুলো নেই। সাথে সাথে জরুরী সেবা নং ৯৯৯ এ কলদিয়ে পুলিশ জানিয়েছি। এমন ঘটনা আমরা দশ বছরের দেখিনি।
ক্ষতিগ্রস্থ মিলন বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় ওই রাতেও ঘুমাতে যাওয়ার আগে গরু গোয়াল ঘরে বেঁধে রেখে যান। ভোরে ফযর নামাজের সময় গরুগুলোকে খেতে দিতে গেলে তিনি দেখেন গোয়ালঘরে কোন গরু নেই। এর পরেই তার ডাক চিৎকারে এলাকার লোকজন তার বাড়িতে আসে এবং বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও গরুগুলোর কোন খোঁজ পাননি।
একের পর এক কৃষকের গরু চুরির ঘটনায় আতঙ্ককে দিন কাটাচ্ছে কৃষকরা। অনেকেই রাত জেঁগে গরু পাহাড়া দিচ্ছেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. হাসান আলী বলেন, চুরির ঘটনা আমি নিজ উদ্যোগে থানা পুলিশকে জানিয়েছি। ইদানীং চোরের ভয়ে স্থানীয়দের মনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
রূপসা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.কাউসারুল আলম কামরুল বলেন, ইদানীং চুরির প্রবণাতাটা বেড়ে গেছে। মানুষকে সচেতন করতে আমি গ্রাম পুলিশ সহ প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের মেম্বারদের নিয়ে বৈঠক করব। ৫টি গরু চুরি হয়েছে বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।
বিষয়টি নিয়ে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মান্নান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি, কেউ লিখিত অভিযোগ করে নাই। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।