‘শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল ছিলেন তারুণ্যের উজ্জ্বীবিত প্রতীক। যে গুণাবলি থাকলে একজন মানুষ অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় হয়ে উঠতে পারে এর প্রায় সব গুণ ছিল শেখ কামালের মধ্যে। যে কারণে শেখ কামালের জীবন থেকে আমাদের যুবসমাজ কী শিখবে, কী জানবে, কেন তাঁকে অনুসরণ করবে, তাঁর প্রতি আমাদের কী দায়বদ্ধতা আছে; তা জানা এবং তাঁর অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করা হচ্ছে আমাদের মূখ্য উদ্দেশ্য।’
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এঁর ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।
অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার আরো বলেন, দেশকে শত্রুমুক্ত করার অভিপ্রায়ে বঙ্গবন্ধুর ডাকে দেশের জনগণের সাথে শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালও যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। তিনি শেখ মুজিবের উত্তরসূরি হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলেছিলেন। শুধু তাই নয়, দেশের ক্রীড়াঙ্গনেও তাঁর অবদান অপরিসীম। তিনি আবাহনী ক্রীড়াচক্র প্রতিষ্ঠা করেছেন, ভালো গান করতেন, সেতারা বাজানোতেও বেশ পারদর্শী ছিলেন। খেলাধুলা ও সংস্কৃতিচর্চাসহ বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী ছিলেন শেখ কামাল। তিনি আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় নাট্য প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন। আলোচনাসভায় শেখ কামালের জীবনী থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশের উন্নয়নে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে উদ্বুদ্ধ করেন বিভাগীয় কমিশনার।
রাজশাহী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ‘শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল: নির্মল তারুণ্যের অগ্রদূত’ শীর্ষক আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) শামীম আহমেদ। অনুষ্ঠানের আলোচক ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর (অব:) মলয় কুমার ভৌমিক।
আলোচনাসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. রশিদুল হাসান ও রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার মো. সাইফউদ্দিন শাহীন।
এর আগে জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্ত্বরে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানিয়ে বৃক্ষ রোপণ করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অসচ্ছল সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের হাতে অনুদানের চেক তুলে দেয়া হয়।