ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে পোষ্য কোটার ক্ষেত্রে শর্ত শিথিলের দাবিতে আন্দোলন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা। আজ শনিবার সকাল ৯টায় তারা এ কর্মবিরতি শুরু করেন। দুপুর দুইটা চলে তাদের এ কর্মবিরতি।
গত ২৬ জুলাই প্রথম কর্মবিরতি শুরু করে কর্মকর্তারা। শনিবার হয় তাদের চতুর্থ দিনের মতো কর্মসূচি। দাবি না মানলে সামনে আরও কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কর্মকর্তারা।
কর্মকর্তাদের দাবি, ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটার ক্ষেত্রে শর্ত রাখা হয়েছে। তাহলে কোটাধারীদের কী সুবিধা দেয়া হলো। পোষ্য কোটাধারী হাতে গোনা কয়েকজন শিক্ষার্থীকে নূন্যতম যোগ্যতায় ভর্তি নিলে আহামরি কোনো ক্ষতি হবে না বলে দাবি করেন তারা।
তথ্য মতে, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ন্যুনতম ৩০ নম্বর প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন বলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষ। এতে পরীক্ষায় ন্যুনতম পাশ নম্বর (৩০) প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবন্ধি, নৃ-গোষ্ঠী, উপণ্ডজাতি, হরিজন দলিত জনগোষ্ঠী, খেলোয়াড় এবং পোষ্য কোটার শিক্ষার্থীদের বিভাগীয় শর্তপূরণ সাপেক্ষে ভর্তির জন্য আবেদন করার নির্দেশনা দেয়া হয়। যার ফলে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কারণ পোষ্য কোটা থাকা সত্ত্বেও শর্তপূরণ না করতে পারায় তাদের সন্তানরা বিশেষ সুবিধায় ভর্তি হতে পারছেন না।
কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এটিএম এমদাদুল আলম বলেন, ‘পৌষ্য কোটায় আমাদের ছেলে-মেয়েদের ভর্তি করাবো এটা আমাদের অধিকার। আমরা দীর্ঘদিন ধরে উপাঁচার্যের কাছেছ অনুরোধ করে আসছি। তাতে আমরা ছকোন উল্লেখযোগ্য সমাধান পাঁচ্ছি না।'
তিনি বলেন, প্রশাসনের কাছে অনেকবার স্মারকলিপি দিয়েছি। তাঁরা বিষয়টি আমলে নিচ্ছে না। সুষ্ঠু ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে প্রশাসন চলুক এটাই আমাদের চাওয়া। আজকে শনিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে। এ ছাড়া দাবি আদায় না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।