ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে প্রতি সপ্তাহে সোমবার অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক বলে দাবি করে প্রশাসন ভবনের সামনে আন্দোলন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়ন সংসদ।
শনিবার (০৫ আগস্ট) ছাত্র ইউনিয়ন টেন্ড থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে অনুষদ ভবন প্রদক্ষিণ করে ঝাল চত্বর দিয়ে প্রশাসন ভবনের সামনে সমবেত হয় তারা। এ সময় হঠাৎ করে অনলাইন ক্লাস নেওয়া সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক বলে দাবি করে তারা। এ ছাড়া সোমবার ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে নতুন সেশনজটের সূচনা হবে বল দাবি করেন তাঁরা।
জানা যায়, গত ৩০ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচএম আলী হাসান এ তথ্য জানান। এতে প্রতি মাসে প্রশাসনের প্রায় ৯ লাখ টাকা আর্থিক সাশ্রয় হবে বলে উল্লেখ করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদের সভাপতি ইমানুল সোহান, সাধারণ সম্পাদক মোখলেসুর রহমান সুইট, ,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক উদয় দেবনাথ, সহ সভাপতি মেহেদী রাফি ,দপ্তর সম্পাদক আহসান হাবীব রানা, অর্থ সম্পাদক নুর আলমও ইমতিয়াজ আহমেদ ইমন, আসিফ রহমান প্রমুখ।
এ বিষয়ে ছাত্র ইউনিয়নের ইবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক মোখলেসুর রহমান সুইট দাবি করেন, 'ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে অনলাইন ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ছাড়া তাঁরা বলেছে সেদিন পরীক্ষা নিতে পারবে না। এ সিদ্ধান্তের কারণে সেশনজট নামের ভয়াল কালসাপ আমাদের গ্রাস করতে চলছে।'
এ বিষয়ে ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদের সভাপতি ইমানুল সোহান বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ হটকারি ও অযোক্তিক সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রত্যাখ্যান করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জ্বালানি সাশ্রয়ের নামে নিয়মিত ক্লাস পরীক্ষা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলেও ইভেনিং কোর্সের ক্লাস কিন্তু বন্ধ হয়নি। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ঠকিয়ে তারা ইভেনিং কোর্সের নামে টাকার ব্যবসা কিন্তু ঠিকই খোলা রেখেছে। অতিসত্বর এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জোর দাবী জানাচ্ছি। না হয় আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবো।'