খুলনার পাইকগাছায় গ্রামীণ এক কিলোমিটার রাস্তা খুড়ে বালি ফেলে ঠিকাদার পালিয়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের এমন কর্মকান্ডের কারণে হাজার হাজার মানুষের চলাচলসহ স্কুলগামী শিশুরা পড়েছে চরম বিড়ম্বনায়। উপজেলা প্রোকৌশলী অফিস সূত্রে জানাগেছে, খুলনা বিভাগ পল্লী উন্নয়ন অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প আওতায় উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের মঠবাটি গ্রামের সাকাত মাষ্টারের বাড়ি থেকে জামাল নায়েব এর বাড়ি পযন্ত ১কিলোমিটার পিচের রাস্তা উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ৯৪,০৬,৮১৯ টাকায় জয়মা এন্টারপ্রাইজ নামক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ৩০ জুন ২০২২ তারিখ কার্যাদেশ পান। ৭জুলাই ২২ তারিখ রাস্তার ইট তুলে বালি ভরাটের জন্য খনন কাজ শুরু করেন। অল্প সময়ে খনন কাজ শেষ হলেও বালি ভরাট না করে প্রায় ৬মাস ফেলে রাখেন। স্থানীয়দের চাপে বালি ভরাট কাজ শুরু করলেও শেষ না করেই পালিয়ে যান ঠিকাদার। বৃষ্টির মৌসুমে খুড়ে রাখা মাটি ও বালি মিশে রাস্তা চলাচলের একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। স্কুলগামী শিশুসহ গ্রামের হাজার হাজার মানুষের চলাচল করতে চরম বিপাকে পড়েছে। গত ৩০ মে ২০২৩ তারিখ কাজের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। মঠবাটী গ্রামের সাবেক ব্যাংকার প্রজিৎ কুমার রায় জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের খামখেয়ালির কারণে গ্রামের মানুষের চলাচলে খুব সমস্যা হচ্ছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল আজিজ বলেন, রাস্তা খুড়ে রাখার কারণে এলাকার মানুষের চলাচল মারাত্বক বিঘ্নিত হচ্ছে। আমি নিজেও ঠিকাদারকে কয়েক বার বলেছি দ্রুত কাজটি শেষ করার জন্য কিন্তু এখন ঠিকাদারের কোন খোঁজ নেই। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জয়মা এন্টারপ্রাইজ এর মালিক তাপস ঘোষ জানান, কাজটি শেখ হাসনাত নামে একজনকে সাব কন্টাকে দিয়েছিলাম সে কাজটি না করে ফেলে রেখেছে বিষটি আমি জেনেছি। তার সাথে যোগাযোগ করে কাজটি দ্রুত আবার শুরু করার চেষ্টা করছি। উপজেলা প্রোকৌশলী হাফিজুর রহমান খান বলেন, ঠিকাদারকে বারবার বলা সত্ত্বেও কাজ করাতে পারছি না। কয়েক বার তাদের চিঠি দিয়েছি তার পরেও তারা কাজ করছেনা। ইতোমধ্যে কাজের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। কার্যাদেশ বাতিল ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করার জন্য নির্বাহী প্রোকৌশলীর নিকট চিঠি পাঠিয়েছি।