কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার আঠারো বাড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ও রাস্তাসহ সপ্তাহের প্রতি বুধবারে একটি গরুর হাট দীর্ঘ প্রায় ১৪ বছরে ধরে নিয়মিত বসছে। এতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও থাকে অতি নগন্য। হচ্ছে শিক্ষার কার্যক্রম ও ব্যহত। প্রশাসনের নামে করছে মোটা অংকের বানিজ্য এ হাটকে কেন্দ্র করে।
শিক্ষার স্বার্থে ও জনস্বার্থে দৈনিক নয়া দিগন্তে স্থানীয় প্রতিনিধি বস্তুনিষ্ট সংবাদ প্রকাশ করায় তাকে বাজারের ইজারাদার আলম হত্যার হুমকি দেন ১৭,এপ্রিল ২০২৩ খ্রী. বিকাল ৩টা ২৬ মিনিটে তার ব্যক্তিগত ০১৭১৫০৩৫৬০৫ এই নাম্বার থেকে। পাশাপাশি জীবন নাশেরও চেষ্টা চালায়।
ধারাবাহিকতায় হত্যারও ষড়যন্ত্র আঁটেন কুচক্রী মহলের অন্যত্তম সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও গরু হাটের উপদেষ্টা কামরুল ইসলাম মানিক এবং ইজাদার আলমসহ আরো কয়েকজন।
সামাজিকভাবে নানান রকম চাপের মুখে তার উপর জুলুম নির্যাতন অব্যহত রয়েছে। গৃহবন্দী অবস্থায় কালক্ষেপণে সময় পার করছেন সাংবাদিক আলী জামশেদ ও তার স্বজনেরা।
গরু হাটের ব্যাংকে জমা প্রায় কোটি টাকাকে মানিক তার ক্ষমতার ক্ষমতার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সাধারণ জনগণকে ভূল ব্যাখায় নিকলী-বাজিতপুর এলাকার লিডার তার সরাসরি পক্ষে আছে আর এলাকার জনগণের সেই গরু হাটের জমা রাখা এক কোটি টাকা তাদের পিছনে ব্যয় করা হবে যারা প্রতিবাদে তাদের কথার বিরোধিতা করবে। নিয়মিত প্রকাশ্যে এ ধরনের হুসিযারী দিয়ে যাচ্ছে মানিক মিয়া।
এই বিষয়ে সাংবাদিক আলি জামশেদ বলেন, বাজারের নামে জমা রাখা কোটি টাকা এখন প্রতিবাদী লোকদের থামিয়ে দিতে হাতিয়ার রূপে ব্যবহার করা হচ্ছে। সাধারণ জনগণকে বাজারের টাকা আর নিকলী বাজিতপুরের লিডারের দোহাই দিয়ে কৌশলে জিম্মি করে তাদেরকে পুতুলের মতো ব্যবহার করছে। আমি স্থানীয় সংসদের নিকটে এর বিচার চাই।
পাশাপাশি জিম্মি অবস্থা থেকে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমি স্বাধীনভাবে কাজ করে বাঁচতে চাই।
বাজারের জায়গা না কিনে, স্কুল মাঠ থেকে বাজার না সরিয়ে নিজের স্বার্থে করছেন ব্যবহার ১৪ বছর ধরে জবাবদিহিতা ছাড়া আর প্রশাসন ম্যানেজের নাম করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে জনগণের কাছ থেকে চক্রটি। এমন অভিযোগ সরেজমিনে অসংখ্য ভুক্তভোগীর।
ঐ বিষয়ে বস্তুনিষ্ট সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিক ও তার স্বজনসহ ৭০টি পরিবারকে মধ্যযুগীয় কায়দায় একঘরে করে নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে মানিকের নির্দেশে সামাজিক বিচারের নামে একঘরে করে।
এতে করে চরম বেকায়দায় পড়েছে, শিশু কিশোর থেকে শুরু করে জেলে, কৃষক, শ্রমিক ও তাদের পরিবার পরিজন।
হাট বাজার ও চিকিৎসা সেবা থেকে শুরু করে মৌলিক মানবিক অধিকার থেকে বঞ্চিত আছেন চারদিন ধরে। আর সাংবাদিক অবরুদ্ধ অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন ১৭ ই এপ্রিল সংবাদ প্রকাশের পর থেকে। পেশাগত কাজকর্ম থেকেও দূরে থাকতে হচ্ছে।
এই বিষয়ে জেলে ও কৃষক মরম আলী বলেন, মাছ ধরতে পারছি না। আমাদের জমিতে ট্রাক্টর দিয়ে হালচাষ করতে দিচ্ছে না, বাজার করতে দিচ্ছে না।
সুরমা আক্তার বলেন, বাচ্চার দুধ পর্যন্ত আমাদের কাছে বিক্রি করছে না মানিকের নিষেধাজ্ঞার কারণে, এলাকার অটোরিকশায় পর্যন্ত নেয় না।
নয়ন বলেন, আমার অসুস্থ স্ত্রীর স্যালাইন পর্যন্ত করতে দেয়নি পল্লি চিকিৎসক নজরুল ইসলাম।
এই বিষয়ে নজরুল ইসলাম বলেন, আমাকে গরু হাটের সভাপতি আঃ রেজাক নিষেধ করে দিয়েছে। তাদের কাছে ওষুধ বিক্রি করলেও জরিমানা এবং কঠিন বিচার করা হবে। তাই আমি বাধ্য হয়ে নিষেধ করেছি।
জারইতলা কমিউনিটি ক্লিনিকের চিকিৎসক আবদুস ছোবন তৃতীয় শ্রেণীর একটি শিশু বাচ্চাকেও চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত করেছে এমনকি তার বাড়ির ফার্মেসী থেকে ঔষধও কেনার সুযোগ দেননি। তার ফার্মেসী থেকেও বের করে দিয়েছে।
হাওরের নিকটে বসবাসকারী নুর ইসলাম ও তার স্ত্রী দুলেনা বলেন, আমার অন্তঃসত্ত্বা রোগী মেয়েকেও দেখতে নিষেধ করে দিয়েছে আঠারো বাড়ীয়ার সাবেক মেম্বার ইন্নছ আলী। স্বামী আক্ষেপে বলেন, হালচাষে নিষেধ করে দিয়েছে, গরু নিয়ে চোর হাওরের বাড়িতে চোর ডাকাতের ভয়ে আছি। এসব কি এমপি সাহেব শুনেনি। বিচার না পেলে এখন কি করবো আমরা খুব চিন্তায় আছি।
আজমত আলী বলেন, জমিতে হাল চাষ করতে না দিলে এখন কি খেয়ে বাঁচবো?
রুছমত আলী বলেন, সাংবাদিকের কাজ নিউজ করা। নিউজের কারণে আজ তার আত্মীয়দেরকে শাস্তি দিচ্ছে মানিক এর কঠিন বিচারের দাবি জানাই প্রশাসনের কাছে।
রুবেল মিয়া বলেন, জমি বন্দোবস্তের টাকা, পাওয়া টাকাও চাইতে গেলে টাকা দিচ্ছে না।
এছাড়াও স্বজনের সাথে যোগাযোগ করে ভিডিওতে তথ্য দেওয়ায় নতুন করে পার্শ্ববর্তী সমাজ দক্ষিণ হাটি থেকে গতকাল ২ আগস্ট কাশেমকেও একঘরে করছে রেখেছে। যারা ভিডিও দিয়েছে তাদের প্রত্যেককে দেখে নেবে এমনকি ঘরবাড়ি ভাঙচুরের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে প্রকাশ্যে। ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা বিশেষকরে নারীও শিশুরা অত্যন্ত আতঙ্কে রয়েছেন এসবের কোন প্রতিকার না পেয়ে।
কামরুল ইসলাম মানিকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তথ্য সংগ্রহ সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে নিকলী থানার ওসি সারোয়ার আলমকে মুঠোফোনে বিষয়টি জানিয়েছেন বলেও জানান সাংবাদিক আলি জামশেদ। তিনি বিষয়টি দেখবেন বলেও আশ্বাস দেন।
জেলা পুলিশ সুপারকেও বিষয়টি একাধিক মাধ্যম থেকে ইতোমধ্যে অবহিত করা হয়েছে।
স্থানীয় সংসদ সদস্যকে ও বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে লোক মারফতে।