বগুড়ার গাবতলীতে সদ্য প্রকাশ হওয়া এস এস সি পরীক্ষায় এ-প্লাস অর্জনকারী জান্নাতি আকতার এখন ছেলেতে রুপান্তর হয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস হয়েছে। ডাক্তারী পরীক্ষার মাধ্যমে বিষয়টি তার পিত মাতা নিশ্চিত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গাবতলী পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের বড় গোড়দহ পুর্বপাড় গ্রামে।
ওই গ্রামের ভাজি পুরি বিক্রেতা জহুরুল ইসলামের একমাত্র মেয়ে জান্নাতি আকতার এবার গাবতলী সরকারী বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এস এস সি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। ২৮ জুলাই এস এস সি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হলে সে জিপিএ-৫ লাভ করে। মেয়ে থেকে ছেলেতে রুপান্তরিত হওয়া জান্নাতিকে দেখতে প্রতিদিন শত শত মানুষ তার বাড়িতে ভীড় জমাচ্ছে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেেেছ। তার একটি ছোটভাই আছে সে সপ্তম শ্রেণীতে লেখা পড়া করে।
মা শিল্পী বেগম ও পিতা জহুরুল ইসলাম জানান, ছোট বেলা থেকেই জান্নাতির শারিরিক পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। বর্তমানে জান্নাতির বয়স সতেরো পেরিয়েছে। বুধবার (২ জুলাই) জান্নাতির শারীরিক পরিবর্তন হওয়ায় তাকে নিয়ে গাবতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে আনাহয়। সেখানে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ( টি এইচ এ) ডাঃ শারমীনা পারভীন জান্নাতির শরীর পরীক্ষা করেন।
ডাঃ শারমীনা পারভীন জানান, কিছু হরমোনের পরিবর্তন হয়েছে। যার কারণে গলার স্বর পরিবর্তন হয়ে পুরুষের গলার মত হয়েছে, দাঁড়ি, গোঁফ গজে উঠছে। জান্নাতির লিঙ্গের কোন পরিবর্তন হয়নি। এজন্য তার সার্জিক্যাল অপারেশন প্রয়োজন হবে। মেয়ে ছেলেতে রুপান্তরিত হওয়ায় আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেন পিতা মাতা।
জান্নাতি জানায়, আল্লাহর ইচ্ছায় আমার শারিরিক পরিবর্তন হওয়ায় আমি খুবই খুশি। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় ও আল্লাহর সুস্থতা কামনা করি। উচ্চশিক্ষা লাভ করে ভবিষ্যতে ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছার পোষন করেন জান্নাতি ওরফে জান্নাতুল ফেরদৌস। পিতা মাতা গরীব হওয়ায় সে সরকারের সার্বিক সহায়তায় কামনা করেন।