কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার সরারচর রেলষ্ট্রেশনে রোববার দুপুর ১ টা ৫০ মিনিটে ষ্টেশন থেকে প্রায় দুইশত থেকে তিনশত গজ দূরে চলন্ত অবস্থায় কিশোরগঞ্জ আন্তনগর ট্রেন (আপ- ৭৮১) আড়াই বগি যাত্রীসহ ট্রেনটি লাইনচ্যুত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এই আড়াই বগিতে প্রায় দুইশত থেকে আড়াইশত যাত্রী ছিল। এগারো সিন্দুর গোধুলি ট্রেনটি (ডাউন- ৭৫০) ষ্টেশনে দুই নম্বর লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল। একই লাইনে ভৈরব থেকে আসা এক্সপ্রেস ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। ষ্টেশন মাষ্টার সেলিম হোসেন ও ষ্টেশনের কর্তব্যরত কর্মচারীরা দায় এড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। রোববার সরারচর রেলষ্টেশনে বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীরা গেলে বিক্ষোদ্ধ রেল যাত্রীরা জানান, এখন বিকাল ৪ টা বাজে। ট্রেন কখন ছাড়বে? তারা এখনও বলতে পারছেন না। তারা আরও বলেন, রেলওয়ের গড়িমসির কারণে প্রতি বছর রেল ভ্রমণ করতে গিয়ে সারা বাংলাদেশের যাত্রীদেরকে প্রাণ হারাতে হচ্ছে। অল্পের জন্য ভ্রমণকারী ১৫০ থেকে ২০০ জন যাত্রী প্রাণে বেঁচে গেলাম। তারা আরও বলেন, ট্রেনের টিকেট ফেরত দেওয়ার তো দূরের কথা, ষ্টেশনের কতর্ব্যরত কর্মকর্তারা তাদেরকে কোনো সম্মান ও করছেন না বলে যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার সৃষ্টি হয়েছে। ভৈরব জোনের সহকারি নির্বাহি প্রকৌশলী মো: নাজমুল হাসান এই প্রতিবেদককে বলেন, ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষ ছাড়া চূড়ান্তভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে আসার পর বলা যাবে মূল ঘটনাটা কোথায়। সরারচর রেল ষ্টেশন মাষ্টার বলেন, তাদের নাকি কোনো দোষ নেই। কার ভূলে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে তাও তিনি বলতে পারছেন না বলে উল্লেখ করেন।