নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বসুন্ধরা হাউজিং এলাকার তিন তলার বাসার ছাঁদ থেকে নিচে পরে আহত মাদ্রাসা ছাত্রী মাইশা আব্দুল্লাহর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দুপুরে মাইশার ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এরপূর্বে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার বিকেলে কিশোরী মাইশা আব্দুল্লাহর মৃত্যু হয়। সে নগরীর রূপাতলী হাউজিং এলাকার আরিয়ান কটেজের ভাড়াটিয়া ও বাকেরগঞ্জের চরামদ্দি ইউনিয়নের সঠিখোলা গ্রামের বাসিন্দা ওষুধ ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ আল মামুনের মেয়ে। মাইশা রূপাতলী উকিল বাড়ী সড়কের জান্নাতুল বকুল মহিলা আলিয়া মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রী ছিলো।
এ ঘটনায় মাইশার খালা বাদি হয়ে তিনজনকে আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আরিয়ান কটেজের দ্বিতীয় তলার ভাড়াটিয়া ছিলো মাইশা ও তার পরিবার। আরিয়ান কটেজের মালিক শাহনাজ পারভীন ও সেতারা বেগম গত ৩ আগস্ট মাইশাকে ডেকে তিন তলার সানসেটের উপর পরে থাকা জুতা এনে দিতে বলে। কিন্তু কার্নিশে পানি থাকায় মাইশা প্রথমে নামতে চায়নি। তাকে জোর করে কার্নিশে নামিয়ে দেওয়ার পর সেখান থেকে পা পিছলে মাইশা নিচে পরে। এতে তার দুইটি পা ভেঙ্গে যায়। এরপর গুরুত্বর অবস্থায় মাইশাকে উদ্ধার করে প্রথমে শেবাচিম ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মাইশার মৃত্যু হয়। এ ব্যাপারে কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, লিখিত অভিযোগের তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।