বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫০ বছরে প্রথমবারের মতো প্রসূতি মায়ের বিনামূল্যে সিজারিয়ান সেকশনের মাধ্যমে ডেলিভারি কর্য্যক্রম শুরু করেছে গত সোমবার অপারেশন থিয়েটারে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের জটিল অপারেশন করানো হবে বরিশাল পাঠাতে হবে না। স্থানীয় অনেকের বলেন এভাবে অপারেশন হলে মানুষের ভালো হবে। কিন্তু কতোদিন থাকবে থাকবে সেটাই বিষয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার বখতিয়ার আল মামুন জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের স্বাস্থ্য সচিব ডাক্তার মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের সহযোগিতায় আধুনিক যন্ত্রপাতিসহ অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পরে চালু করা হয়েছে। এর আগে অনেক রোগীকে আমার বরিশাল পাঠাতাম অপারেশন জন্য এখন আর অপারেশন করানো জন্য বরিশাল পাঠাতে হবে না।
গত সোমবার প্রথমবারের মতো বিনামূল্যে উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের উত্তর বড়মগরা গ্রামের জটিল জয়ধরের স্ত্রী স্বপ্না বাগচী (৩০)এর সিজারিয়ান সেকশনের মাধ্যমে ডেলিভারি করে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। অপারেশনে করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গাইনী কনসালট্যান্ট ডাক্তার মশিউর রহমান, সাথে ছিলেন এ্যানেথেস্থিয়া কনসালট্যান্ট ডাক্তার আনিচুর রহমান, মেডিকেল অফিসার ডাক্তার তরিকুল ইসলাম, সিনিয়র নার্স মাধবী লতা রাজিব, সম্পা ভান্ডারী ও মাধবী গাইন।
জটিল জয়ধর বলেন, আমরা গরিব মানুষ। আমার স্ত্রী স্বাপ্না বাগচিকে বেসরকারি ক্লিনিকে সিজারিয়ান ডেলিভারি করাতে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা চেয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিনামূল্যে আমার স্ত্রীর সিজারিয়ান সেকশনের মাধ্যমে ডেলিভারি করাতে পেরেছি। একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়েছে। এখানে চিকিৎসা ব্যবস্থা ও সেবার মান খুবই ভালো। আমার স্ত্রী এবং নবজাতক পুত্র সন্তান সুস্থ আছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চত্তরে গৈল গ্রামের এনামুল হক সরদার বলেন, সরকারের এই উদ্দ্যেগ খুবই ভালো। বেসরকারি হাসপাতালে সিজার করাতে গেলে অনেক টাকার দরকার যা গরিব মানুষের পক্ষে চালানো সম্ভব না। এখানে হওয়াতে অনেক উপকার হবে মানুষের।
সুজনকাঠি গ্রামের আহম্মদ আলী বেপারী বলেন, সরকার যে টা করেছে খুই ভালো করেছে। কিন্তু কিছুদিন পরে আবার বন্ধ না হয়ে যায়। ডাক্তারা ক্লিনিকের সাথে হাত করে পারসেন্টিস খাবে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসলে বলবে সব যন্ত্ররপাতি নষ্ট, এখানে অপারেশন হয়না। চালু থাকলে তো ভালোই হবে।
উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রইচ সেরনিয়াবাত বলেন, এই এলাকার সাধারণ মানুষের চাহিদা ছিলো বিনামূল্যে যে কোন অপারেশন করা। এরই ধারাবাহিকতায় এতোদিন পর অপারেশন থিয়েটার চালু হওয়াতে এখানকার মানুষ যে কোন জটিল রোগের অপারেশন করতে পারবেন।