ফরিদগঞ্জে নিম্নচাপ ও পূর্ণিমার প্রভাবে এক সপ্তাহ’র টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার কারণে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়কসহ গ্রামীণ সড়ক গুলো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এতে করে জনগণ ও যান চলাচলে দূর্ভোগে বেড়েছে। লোকজন জলাবদ্ধতা ও সড়ক ধসে পড়ায় এসব এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বাধাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। এসব এলাকা দ্রুত জলবদ্ধতা নিস্কাশন ও সংস্কার না হলে দূর্ভোগ আরো বাড়বে বলে জানান স্থানীয়রা।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের খাজুরিয়া আদশা সড়ক ভেঙে যায়, রূপসা উত্তর ইউনিয়নের রূপসা বাজারের পশ্চিম পাশে সড়কটি ভেঙে যায়, ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের কাটাখালী থেকে পশ্চিম পোঁয়া হয়ে কালির বাজারের সড়কটি প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। এছাড়াও পৌর এলাকার আংশিক অংশসহ উপজেলার গ্রামগঞ্জের বিভিন্নœ সড়কের অংশ উপড়ে যায়।
পশ্চিম পোঁয়া এলাকার সিএনজি অটোরিকশা চালক রিয়াদ বলেন, বৃষ্টির কারণে সড়কটি পুরো নষ্ট হয়ে গেছে। গাড়ী চালানো সম্ভব হচ্ছে না, সড়কের কাজ না করলে আমাদের দূর্ভোগ বেড়ে যাবে। বাড়ি থেকে প্রায় ৩ কিলো দূরে গাড়ী এক স্থানে গাড়ি রেখে আসি। কখন কোন দূর্ঘটনার শিকার হই কে জানে।
গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বুলবুল আহমেদ জানান, ক্ষতিগ্রস্থ কয়েকটি সড়ক আমি পরিদর্শন করেছি। সড়ক গুলো দ্রুত সংস্কার করা না গেলে ভাঙন বেড়ে যাবে। তাই বিকল্প ভাবে এসড়ক সংস্কার করতে হবে।
এ বিষয়ে বক্তব্যের জন্য উপজেলাকে প্রকৌশলীকে আবরার আহ্মেদকে একাধিকবার মুঠো ফোনে কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি সভাপতি ও নির্বাহী অফিসার তাসলিমুন নেছা বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক গুলোর বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছি, সেগুলো মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ চলমান রেখেছি। সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে সকল সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।
উপজেলা পরিষদেরচেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জাহিদুল ইসলাম রোমান জানান, সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানা ঝুঁকিপূর্ণ সড়ক গুলোর বিষয়ে মাসিক সমন্বয়সভায় উপজেলা প্রকৌশলীকে জানালেও কি কারণে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেই নি, তা আমার বোধগম্য নয়। সড়ক গুলো দ্রুত সংস্কার করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট বিভাগকে জানিয়েছি।