পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় রাজস্ব ফাঁিক দিয়ে ভারতে চা পাচারের সময় পুলিশের হাতে ৪০ বস্তা চা সহ আবদুল মাজেদ (২৪) নামের একজন আটক হয়েছে। এ সময় হলুদ নীল রংয়ের পিকআপ থেকে প্লাস্টিকের ৪০ বস্তা চা জব্দ করা হয়। প্রতিটি বস্তায় ৪৫ কেজি চা হিসেবে ১ হাজার ৮ কেজি চা উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ২ লাখ ৭ হাজার টাকা। আটককৃত আবদুল মাজেদ জেলার সদর উপজেলার সদর ইউনিয়নের জগদল এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে।
জানা যায় গত সোমবার তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশের রাত্রিকালীন টহল দল শালবাহান রোড এলাকায় অবস্থান করছিল। এ সময় পুলিশ গোপন জানতে পারে ভজনপুর ভজনপুর বাজারে হাইওয়ে সড়কের উপর আকবর আলী নামের এক ব্যক্তির পান সিগারেটের দোকানের সামনে ভারতে অবৈধভাবে চা পাচারের জন্য চা ভর্তি একটি পিকআপ ভ্যান অবস্থান করছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছালে টের পেয়ে পালানো চেষ্টা কালে আবদুল মাজেদ সহ পিকআপ ভ্যানটি আটক করা হয়। এ সময় পুলিশের কাছে আটককৃত মালামালের বৈধ কাগজ দেখাতে বললে আবদুল মাজেদ তা দেখাতে পারলে থানায় নিয়ে আসে। এ সময় পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আবদুল মাজেদ জানায় পঞ্চগড়ের মীরগড় এলাকার নাহিদ (২৫) নামের এক যুবক পুর্ণিমা-সুরমা নামের চা ফ্যাক্টরী থেকে অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জন ব্যক্তিদের মাধ্যমে ভারতে চা পাচারের উদ্দেশ্যে পিকআপ ভ্যানে লোড করে দেয়। তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশ মঙ্গলবার সকালে আবদুল মাজেদকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত নাহিদ পলাতক রয়েছে। এ ব্যাপারে সুরমা-পূর্ণিমা চা কারখানার মালিক শেখ ফরিদ তবে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
উল্লেখ্য যে, পঞ্চগড় ও তেঁতুলিয়া উপজেলায় বাংলাদেশ চা বোর্ডের অনুমোদিত ২৩টি চা কারখানা রয়েছে। তদ্মধ্যে ১৪টি চা কারখানা চা প্রস্তুত ও উৎপাদনের সংগে জড়িত আছে। চা কারখানার মালিকদের ব্যাপারে চাষীদের অভিযোগ ভাল মানের উৎপাদিত চা রাতের নিলাম মার্কেটে না পাঠিয়ে রাতের আঁধারে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বিক্রি করেন। এসব কারখানার মালিকের চা বোর্ডের নিলাম মার্কেটে দাম নেই অজুহাতে কৃষকদের কাছে ৩০-৪০% কর্তন করে নামমাত্র মূল্য দিয়ে চাষীদের কাছে চা পাতা ক্রয় করেন। ফলে কৃষকরা কাঁচা পাতার ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সাঈদ চৌধুরী বলেন, আটকৃত যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারি চা-বস্তাগুলো শুল্ক কর ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে করা হতো। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।