রাজশাহীর বাঘায় হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে বাবা রুস্তম আলী পাকাকে (৭০) হত্যাকারী সেই ছেলে শুকুর আলী পাকাকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মোবাইল ট্যাকিং করে মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে হরিরামপুরের হাবিবের মোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জানা যায়, কিছুদিন থেকে বাবার ৬টি মেহগনি গাছ বিক্রি করে ছেলে টাকা নিবে। গাছ বিক্রি করতে বাবা নিষেধ করে ছেলেকে। এ নিয়ে মঙ্গলবার ভোর রাতে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে ধারালো হাঁসুয়া দিয়ে বাবা রুস্তম আলীকে কুপিয়ে হত্যা করে ছেলে শুকুর আলী পালিয়ে যায়। হত্যার ১৯ ঘন্টা পর মোবাইল ট্যাকিং করে রাত ১১টার দিকে হরিরামপুরের হাবিবের মোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিহতের মরদেহের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে রাত ৮টার দিকে জানাযা নামাজ পর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এই ঘটনায় হত্যারকারীর বড় ভাই নজরুল ইসলাম বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করা করেন।
মনিগ্রাম ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, বাবার গাছ বিক্রি করতে নিষেধ করায় কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে ধারালো হাঁসুয়া দিয়ে বাবা রুস্তম আলীকে কুপিয়ে হত্যা করে ছেলে শুকুর আলী। কয়েকদিন আগে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে প্রতিবেশী এক নারীকে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে জখম করার দায়ে সামাজিকভাবে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়েছিল শুকুর আলী।
এ বিষয়ে বাঘা থানার ওসি খায়রুল ইসলাম জানান, ঘটনার পর থেকে শুকুর আলী পলাতক ছিল। মোবাইল ট্যাকিং করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে পুলিশের কাছে শুকুর আলী বাবার হত্যার দায় শিকার করেছে। বুধবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হেেয়ছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ভোর রাত সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের মীরগঞ্জের হরিরামপুর গ্রামে বাবা রুস্তম আলী পাকাকে ছেলে শুকুর আলী হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।