বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই নির্দেশনায় উপহার হিসেবে চতুর্থ পর্যায়ের দ্বিতীয় দাফায় বাগেরহাটের শরণখোলায় আরো ৬০ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার আশ্রয় -২ প্রকল্পের জমি ও ঘর পেয়েছেন। উপজেলা পরিষদের অদুরে গোলবুনিয়া গ্রামে সরকারি ভাবে জমি ক্রয় করে এ ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়েছে।
বুধবার ৯ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশের সাথে শরণখোলায়ও আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। শরণখোলা উপজেলার ৬০ জন গৃহহীনদের মধ্যে জমি সহ দুই কক্ষের রঙ্গিন টিনের সেমি পাকা আশ্রায়ন প্রকল্পের ঘরের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তুলে দেয়া হয়। এর আগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাহিদুল ইসলাম শামীমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি মোঃ আবদুল জব্বার। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্ত, সহকারি কমিশনার মো : রুহুল কুদ্দুস, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা প্রিয় গোপাল বিশ্বাস, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান পারভেজ, রাহিমা আক্তার হাসি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ আজমল হোসেন মুক্ত, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিলন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এম এ খালেক খান, খোন্তাকাটা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন, সাউথখালী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ইমরান হোসেন রাজিব, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ আবদুল হাই, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মেহেদী হাসান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন গৃহহীন পরিবার ভ্যান চলক লোকমান ও আল হেলাল বলেন আমরা এতদিন বলতে গেলে রাস্তায় কোনভাবে নানা কষ্টে বসবাস করেছি। বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে ঘর দেয়ায় আল্লাহর কাছে শুক্রিয়া কামনা করছি। যেন তাকে আবারো এদেশের প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে মানুষের সেবায় কাজ করতে পারে।
প্রধান অতিথি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ আবদুল জব্বার বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গৃহহীন ও ভূমিহীনদের ঘর দিয়ে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা পৃথিবীতে কেউ করে নাই। গতকাল পর্যন্ত যার মাথার উপর কোন ঠাই ছিল না আজ প্রধানমন্ত্রীর দেয়া জমি ও ঘর পেয়ে মাথা গোজার ঠাই হয়েছে, রক্ষণাবেক্ষণের দায় দায়িত্ব আপনাদের। তাদের সুবিধা গুলো দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের সকলের প্রতি আহ্বান জানান। আপনার আমার যেভাবে যৌবন চলছে ঠিক সেইভাবে বাংলাদেশের উন্নয়নের যৌবন চলছে। এটা আর ধরে রাখার দায়িত্ব আমাদের সকলের।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রায়হানউদ্দিন শান্ত বলেন, অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী জমি ও ঘর দেয়ার যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করায় ধন্যবাদ জানান। তিনি শরণখোলার অসহায় ঋষি সম্প্রদায়ের পরিবারকে পরবর্তী সময় তালিকা এনে তাদের ঘর দেয়ার ব্যবস্থা করার জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবী জানান। নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাহিদুল ইসলাম শামীম বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক দেয়া এ ঘরগুলো সুন্দরভাবে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য উপকারভোগীদের সকলের প্রতি আহ্বান জানান।