১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় জীবনবাজী রেখে যুদ্ধে অংশগ্রহন, ভারতে ট্রেনিং ক্যাম্প প্রতিষ্ঠা, ফুলবাড়ীর খড়িবাড়ীতে প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং লালমনিরহাট, কাঁঠালবাড়ী ও নাগেশ্বরীতে সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহনের স্বীকৃতি স্বরুপ সর্ব্বোচ্চ খেতাবের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহমান। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবস্থ সৈয়দ শামসুল হক মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে প্রস্তাবিত খেতাবের দাবীতে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নের মালভাঙ্গা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুর রহমান তার সংগৃহিত তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক ও তার ভাই মোহাম্মদ আলী সরকার।
এসময় তিনি বলেন, দেশ স্বাধীনের পর তৎকালিন কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য মরহুম রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ ভোলা মিয়া আমাকে ১৯৭৫ সালে স্বাধীনতা দিবসের ১৫দিন পূর্বে খেতাব প্রদানের জন্য যোগাযোগ করেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের ঘাতকরা নির্মমভাবে হত্যার পর আমার খেতাবপ্রাপ্তীর বিষয়টি ধামাচাপা পরে যায়। এরপর বিভিন্নভাবে দেন দরবার করেও কোন সুরাহা না পেয়ে সাংবাদিক সমাজের কাছে আমার প্রাপ্ত খেতাবের দাবীতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।