চাঁদপুরে ২২ কেজি গাঁজা উদ্ধারসহ ৩ (তিন) জন মাদক কারবারিকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ।
৯ আগস্ট, ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ দিবাগত রাত পৌণে ১টার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চাঁদপুর সদর মডেল থানাধীন শাহমাহমুদপুর ইউপির ঘোষেরহাট সীমা পাইপ ইন্ড্রাষ্টিজের সামনে কুমিল্লা-চাঁদপুর সড়কের উপর থেকে তিনজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে চাঁদপুর ডিবি পুলিশ। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে ২২ কেজি গাঁজা, ১ টি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়। আটককৃতদের নাম মহসিন (৩০), মোঃ হাবিবুর রহমান (২৫) ও আরিফুল ইসলাম প্রঃ সজল (৩০)।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা পুলিশকে জানায়, তারা দীর্ঘ দিন যাবৎ কুমিল্লা সীমান্তবর্তী এলাকা হতে গাঁজা সংগ্রহ করে নারায়নগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে আসছে। তারা কুমিল্লা জেলার থেকে ২২ কেজি গাঁজা ক্রয় করে মাইক্রোবাস যোগে কুমিল্লা চাঁদপুর হয়ে নারায়নগঞ্জের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। পথেমধ্যে পুলিশের চেকপোস্টে থামিয়ে স্বাক্ষীদের উপস্থিতেতে তল্লাশী করাকালে আটককৃতদের দেখানো মতে গাড়ীর সিটের উপর ১ ও ২নং আসামীর মাঝ খানে রাখা দুইটি কার্টুন, একটি কার্টুনে ১০ কেজি ও অপর কার্টুনে ১২ কেজি গাঁজা সহ সর্বমোট ২২ কেজি গাঁজা, মূল্য অনুমান ৪,৪০,০০০/-টাকা ও একটি সাদা রংয়ের হাইচ গাড়ী, যাহার রেজিঃ নং-ঢাকা মেট্রো-চ-১৯-১৩২৪, ইঞ্জিন নং-১ঞজ-৮৩২৭০৩৪, চেসিস নং-ঞজঐ২০০-০১৩২২৫৫, মূল্য অনুমান ২০,০০,০০০/-টাকা উদ্ধার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা আরো জানায় কুমিল্লা জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে অজ্ঞাতনামা আসামীর নিকট হতে গাঁজা ক্রয় করে নারায়নগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জের জনৈক ওমর ফারুক (৩৫) নিকট পৌঁছে দেওয়ার জন্য মাইক্রোবাস যোগে যাইতেছিল। আটকৃতরা ও সহযোগী পলাতক আসামীদের পরষ্পর যোগসাজশে ওই মাদক নারায়নগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী ও সেবন কারীদের নিকট অবৈধভাবে বিক্রয় করার পরিকল্পনা ছিল।
আটককৃত মহসিন (৩০), ২। মোঃ হাবিবুর রহমান (২৫), ৩। আরিফুল ইসলাম প্রঃ সজল (৩০), দ্বয়ের বিরেুদ্ধে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন ২০১৮ সালের ৩৬(১) সারণির ১৯(গ)/৩৮/৪১ ধারায় মামলা রুজুর নিমিত্তে এজাহার দায়ের করেন। মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন। পলাতক আসামীর নাম ঠিকানা যাচাই বাছাইসহ সনাক্তপূর্বক গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে। মাদক বিক্রেতা সেই হউক না কেন তাকে ছাড় দেওয়া হবে না অভিযান অভ্যাহত থাকবে।
মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, বিপিএম, পিপিএম, পুলিশ সুপার, চাঁদপুর এর দিক নির্দেশনায়, পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) সৈয়দ মোহাম্মদ আক্তার হোসেনের তত্ত্বাবধানে এসআই কামরুল হাসান কায়কোবাদের নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি চৌকস দল ওই মাদক অভিযান পরিচালনা করেন।