পটুয়াখালীর গলাচিপায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করলেন আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী মো. তসলিম সিকদার। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পটুয়াখালী জেলা শাখার মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক এবং পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
শুক্রবার বেলা ১১ টায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে তিনি সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন। মতবিনিময়কালে তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন। এ সময় তসলিম সিকদার বলেন, "আমি প্রথমে ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী -৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাই। এরপর থেকে প্রতিবারেই আমি দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলাম। এই দীর্ঘ সময়ে আমি দলের শৃঙ্খলা মেনে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দলের পক্ষে সর্বদা কাজ করেছি। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাদেরকে প্রাধান্য দিচ্ছেন। এবার আমি ইতোমধ্যে গণসংযোগে ব্যাপক সাড়া পাঁচ্ছি। অনেক সময় দলের কাজ করতে গিয়ে অত্র এলাকায় সময়মতো আসার সুযোগ হয়নি। আমি মূলত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরতেই মানুষের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি। নৌকার ভোট বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন হাটে বাজারে পথসভা ও গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছি। যিনি দলীয় মনোনয়ন পাবেন দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে আমি তার পক্ষে কাজ করব।" এ সময় তসলিম সিকদার সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "আমি এমপি হতে পারলে এ এলাকা থেকে ঘুষ দুর্নীতি বন্ধে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। আমার হারাবার কিছুই নেই। দলকে অনেক দিয়েছি। দেশের স্বার্থে, সাধারণ মানুষের স্বার্থে আমি সততা, নিষ্ঠা ও ত্যাগের মধ্যে দিয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ করে যাবো।" সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, "গলাচিপা-হরিদেবপুর সেতু আগামী এক মাসের মধ্যেই টেন্ডারে উঠবে। আমি এ ব্যাপারে খোঁজ খবর নিচ্ছি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আমার খুব কাছের কর্মকর্তা আছেন। তার মাধ্যমেই এই সেতু অতি দ্রুত নির্মানের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।" এ সময় আওয়ামীলীগ, অঙ্গ সংগঠন ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।