২০১১ সালের চ্যাম্পিয়ন জাপান। এবার গ্রুপে ও শেষ ষোলোতে আধিপত্য বিস্তার করে আবারও সেই সাফল্যের পুনরাবৃত্তির আভাস দিয়েছিল। কিন্তু পারলো না কোয়ার্টার ফাইনালের বাধা টপকাতে। শুক্রবার নিউ জিল্যান্ডের ইডেন পার্কে তাদের ২-১ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার সেমিফাইনালে উঠে গেলো সুইডেন। গ্রুপের তিন ম্যাচে ১১ গোলের বিপরীতে জাপান গোলপোস্ট রেখেছিল একেবারে অক্ষত। এই আসরে তারা প্রথম গোল হজম করে শেষ ষোলোতে নরওয়ের কাছে। শেষ আটে গিয়ে তারা দুটি গোল হজম করে। পাল্টা আক্রমণে কয়েক বার সুযোগ তৈরি করে গোল শোধ দিলেও সমতা ফেরাতে পারেনি। পেনাল্টি থেকে গোল করতে না পারার আক্ষেপ নিশ্চয় পোড়াবে তাদের। ২৫ মিনিটে সুইডেনের স্টিনা ব্লাকস্টেনিয়াসের ডানপায়ের শট গোলবারের ডানদিক দিয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ম্যাচের আধঘণ্টা পার হওয়ার মিনিটখানেক পর সুইডিশদের একাধিক প্রচেষ্টা প্রতিহত করে জাপানের রক্ষণভাগ। তবে ৩২ মিনিটে আমান্ডা ইলেস্টেটের ডানপায়ের শট আটকাতে পারেনি জাপান। এই আসরে দ্বিতীয় গোল হজম করে তারা। বিরতির আগে সুইডেনের তিনটি প্রচেষ্টা সেভ করেন জাপানি গোলকিপার আয়াকা ইয়ামাশিতা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আরেকবার ধাক্কা খায় জাপান। ৪৮ মিনিটে ফুকা নাগানো সুইডেনের বক্সে হ্যান্ডবল করেন। ভিএআর দেখে রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। ৫১ মিনিটে ফিলিপ্পা আনগেলদাহি ডানপায়ের নিচু শটে ব্যবধান ২-০ করেন। ৬৩ ও ৬৮ মিনিটে জাপান দুইবার গোলের সুযোগ নষ্ট করে। আওবা ফুজিনো ও ইউই হাসেগাওয়া ক্রসবারের ওপর দিয়ে বল মারেন। ৭১ মিনিটে ফুজিনোকে রুখে দেন সুইডিশ গোলকিপার। পাঁচ মিনিট পর রিকো উয়েকি পেনাল্টি আদায় করেন। বক্সের মধ্যে তাকে ফাউল করে সুইডেন। কিন্তু সবাইকে হতবাক করে উয়েকির শট লাগে গোলপোস্টে! একটি পেনাল্টি দেওয়ার পর নিজেরা পেনাল্টি থেকে গোল করতে না পারাই হয়তো কাল হলো জাপানের জন্য। ৮৭ মিনিটে হোনোকা হায়াশির ডানপায়ের শটে স্কোর ২-১ হয়। ইনজুরি টাইমে দুইবার জাপান সুযোগ নষ্ট করে গোলবারের পাশ দিয়ে বল মেরে। আগামী ১৫ আস্ট স্পেনের বিপক্ষে সেমিফাইনাল খেলবে ২০১৯ সালের আসরে তৃতীয় হওয়া সুইডিশরা। এনিয়ে চতুর্থ সেমিফাইনালে সুইডেন, তারা কখনও স্পেনের কাছে হারেনি। জাপানও বিদায় নেওয়ায় এবারের আসরে নতুন কোনো চ্যাম্পিয়নকে পেতে যাচ্ছে বিশ্বকাপ।