জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণকে উপজীব্য করে নির্মিত হয়েছে প্রথম শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘মাইক’। পূর্ণদৈর্ঘ্য এ চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশ সরকারের অনুদানে নির্মিত। শুক্রবার ৯ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। এর আগে প্রচারণায় অংশ নিয়ে অভিনেতা তারিক আনাম খান বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও তার ৭ই মার্চের ভাষণকে জানা ছাড়াও ‘মাইক’ সিনেমাতে অদ্ভুত সুন্দর গল্প আছে। একটা শিক্ষণীয় ছবি হয়েছে এটি। আমি নিশ্চিত এ সিনেমাটি সবার ভালো লাগবে।’ অভিনেত্রী তানভীন সুইটি বলেন, ‘পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট আমাদের জাতির পিতাকে সপরিবার হত্যা করার পর সবকিছু পাল্টে গিয়েছিল। অনেক কিছু নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এই দেশটা কে তৈরি করে গেছেন? বঙ্গবন্ধুর এক ডাকে লাখো মানুষ ছুটে এসেছিল। আমরাতো সেসব ইতিহাস জানি না। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম কিভাবে জানবে? আপনারা সিনেমাটা দেখুন। যেই স্বাধীন দেশে বাস করছি সেই দেশের ইতিহাস তো সবাইকে জানতে হবে।’ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজির লিটন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চকে উপজীব্য করে নির্মিত এই সিনেমা দেখলে ইতিহাস জানা যাবে।’ ‘মাইক’ চলচ্চিত্রের গল্পকার, প্রযোজক ও পরিচালক এফ এম শাহীন বলেন, এ চলচ্চিত্রটি নতুন প্রজন্মের কাছে জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ পৌঁছে দেবে। শিশুতোষ এ চলচ্চিত্র থেকে স্বাধীনতার ইতিহাস জানতে পারবে। একইসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে ‘মাইক’ সিনেমাটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এ সিনেমায় জুটি বেধেছেন ফেরদৌস আহমেদ ও তানভীন সুইটি। এ ছাড়াও আছেন অভিনেতা নাদের চৌধুরী, ঝুনা চৌধুরী, জয়িতা মহলানবিশ, সংগীতা চৌধুরী, রহিম সুমন, ইকবাল হোসাইন, শিশুশিল্পী সানজিদ রহমান খান, আলী আবদুল্লাহ দাইয়ান ভূঁইয়া, খোন্দকার মেঘদূত জলিল, মীর্জা ত্বাবীব ওয়াসিত প্রমুখ। লেখক, কলামিস্ট ও সংগঠক এফ এম শাহীনের প্রযোজনায় চলচ্চিত্রটি যৌথভাবে পরিচালনা করছেন এফ এম শাহীন ও হাসান জাফরুল বিপুল। গত ২৯ মে চলচ্চিত্রটি আনকাট সেন্সর ছাড়পত্র পেয়েছিল। এ ছাড়া ‘মাইক’ চলচ্চিত্রটি দেখে সেন্সরবোর্ডের সদস্যরা ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।