জনগণের ভোটের অধিকারের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা। তারা বলেন, নির্দলীয় সরকার গঠন করে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করবো ইনশাআল্লাহ। শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বিজয়নগরে গণমিছিলের আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ ঘোষণা দেন তারা। সরকারের পদত্যাগ এবং বিজয়ের প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে মন্তব্য করে ১২ দলীয় জোট নেতারা বলেন, অবিলম্বে বর্তমান সরকারকে বিদায় নিতে হবে। তাছাড়া দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সমাবেশে ১২ দলীয় জোট প্রধান ও জাতীয় পার্টির (জাফর) সভাপতি মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপির নেতৃত্বে চলমান সরকার পতনের আন্দোলনে বিএনপিসহ অন্যান্য দল ও জোটের যুগপৎ কর্মসূচির আওতায় আজকের এই গণমিছিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দেশ এবং দুনিয়া দেখছে দেশের সিংহভাগ মানুষ শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ ও মিছিলের মাধ্যমে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত জনগণের ভোটের অধিকারের দাবিতে আন্দোলন চলবে। জোটের মুখপাত্র কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক বলেন, বিদেশিদের ওপর ভরসা করে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটানো বাস্তবসম্মত নয়। সবাইকে মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। আজকে দেশে ব্যাংক লুটপাট চলছে। দেশের ছয়টি ব্যাংক থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকা পাঁচার হয়ে গেছে। এদের তো ফাঁসি হওয়া উচিত। তাহলে আর পদত্যাগ করা লাগবে না। আমরা এই দাবি আদায় পর্যন্ত রাজপথে আছি এবং থাকবো। সমাবেশ শেষে সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্কি সংলগ্ন সড়ক থেকে মিছিল বের হয়, যা শান্তিনগর মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব এ এস এম শামীমের উপস্থাপনায় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় দলের মহাসচিব রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) চেয়ারম্যান শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট রাশেদ প্রধান, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম, ইসলামি ঐক্যজটের মহাসচিব মাওলানা আবদুল করিম, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টির চেয়ারম্যান ড. জাভেদ মো. সালেউদ্দিন প্রমুখ।