রূপসা উপজেলার পূর্ব রূপসা এলাকায় নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট এর নামে মসজিদের ইমাম কর্তৃক মুসল্লীর ১৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। শনিবার ১২ আগস্ট সকাল সাড়ে ১১ টায় রূপসা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রামনগর গ্রামের মৃত আবদুল মান্নানের পুত্র অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী মোঃ খাদেমুল ইসলাম এসব অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, চাকুরী থেকে অবসর গ্রহনের পর পেনশনের যৎসামান্য টাকা ব্যাংকে সংরক্ষণ করেছিলাম। পরবর্তীতে ব্যাংকে থাকা পেনশনের টাকার লভ্যাংশ দিয়ে স্ত্রী দুইকন্যা ও এক পুত্র সন্তান নিয়ে কোন রকমে দিনযাপন করছিলাম। এ সময় হারাম-হালাল সুদ-ঘুষের তকমা দিয়ে আমার উপর টোপ ফেলেন স্থানীয় পূর্ব রূপসা রেল মসজিদের ইমাম বাগমারা নিবাসী মৃত মোকিম গাজীর পুত্র জাহিদুর রহমান।
আমি ওই মসজিদের একজন নিয়মিত মুসল্লী হওয়ার সুবাধে ইমাম আমার ধর্মীয় সরলতার সুযোগে সুদ ঘুষ হারাম হালালের তকমা দিয়ে ব্যাংকে রক্ষিত আমার ১৮ লাখ টাকা ধাপে ধাপে আত্মসাৎ করেন। যে টাকায় আমি স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতাম। মসজিদের ইমাম আমার টাকা হালাল ব্যবসায় ইনভেষ্ট করার কথা বলে মান্নান তালুকদারের মালিকানাধীন নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট এর এজেন্ট হিসাবে তিনি (ইমাম) আমার বইয়ে স্বাক্ষর করে টাকা গ্রহণ করে বলেন আপনার সমুদয় টাকার জিম্মাদার আমি। টাকা মার হয়ে গেলে আপনি আমার কাছ থেকে বুঝে নিয়েন। এই কথা বলে তিনি প্রথমে আমার নামে দু’টি বইয়ে তের লাখ টাকা, পরের ধাপে আমার বড় মেয়ের নামে দু’টি বইয়ে সাড়ে তিন লাখ টাকা ও তারপরের ধাপে মেজ মেয়ের নামে একটি বইয়ে দেড় লাখ টাকা স্বাক্ষর করে গ্রহণ করেন। এরপর তিনি কয়েক কিস্তি ব্যবসার মুনাফা আমাকে দেন। তারপর থেকে মুনাফা কিংবা আসল টাকা ফিরিয়ে না দিয়ে আমার সাথে নানারকম তালবাহানায় লিপ্ত হন। আমি তাকে টাকা পরিশোধের চাপ দিলে ইমাম জাহিদুর রহামান এপর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে আমার কাছ থেকে কয়েকদফা সময় নেন। অথচ আজ অবধি আমার টাকা ফেরত দেন নাই। আমি বর্তমানে অর্থাভাবে আমার অসুস্থ স্ত্রীর চিকিৎসা করাতে পারছি না। তাছাড়া সন্তান-সন্তুতি নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। আমার একমাত্র পুত্র কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত। তার লেখাপড়ার খরচও যোগাতে পারছি না। এ অবস্থায় আমার বেচে থাকাটা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। এমন অবস্থায় গত কয়েকদিন পূর্বে রূপসা থানায় আমি লিখিত অভিযোগ করতে গেলে তারা অভিযোগটি গ্রহন করেনি মর্মে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ র্যাব, গোয়েন্দা সংস্থার উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তার ছোট ভাই সাংবাদিক রবিউল ইসলাম তোতা ও মেয়ে খালেদা সুলতানা শাপলা।