বর্ষার আগমনী বার্তা, ঝরছে ঝিরঝির বৃষ্টি। বইছে সুবাতাস। নদী, খাল বিল, হাওড় বাওড়ে বাড়ছে পানি। তাই নৌকা তৈরির কাজে কারিগররা পার করছেন ব্যস্ত সময়। দিনরাত হাতুড়ি-বাটালের ঠুকঠুকানিতে মুখর বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার নৌকার কারিগররা। হাওড়,বাওড়,খাল,বিল ও নদীমাতৃক বাংলাদেশ। এদেশে বর্ষা মৌসুমে নি¤œাঞ্চলের মানুষের বাহন হিসেবে নৌকার প্রচলন আবহামান কালের ইতিহাস ঐতিহ্যের সাথে জড়িত। বন্যাকবলিত এই এলাকায় মানুষের পারাপারে নৌকাই তাদের ভরসা। বর্ষাকালে মৎস্যজীবীরা মাছ ধরার কাজে নৌকার ব্যবহার সহ নিচু এলাকার মানুষের নৌকার প্রচলন অতি গুরুত্বপূর্ণ।
উপজেলার নালুয়া বাজারের নৌকার ব্যবসায়ী রমজান শেখ ও জাহাঙ্গীর শেখ জানান, বর্ষা মৌসুমে তারা প্রতিনিয়ত নৌকা তৈরীর কাজে ব্যস্ত থাকেন। এখান থেকে পাইকারি এবং খুচরা হিসাবে নৌকাগুলো বিক্রি করা হয়। নৌকার কারিগর নেয়ামত শেখ সহ অন্যরা জানান, তারা চুক্তি ভিত্তিক মালিকদের কাজ করেন। দৈনন্দিন যে মুজুরী পান তাতে তাদের পরিবার সাচ্ছন্দে চলতে পারে। জানা গেছে দুরদুরন্তের হাট বাজারের ব্যপারিরা এখান থেকে পাইকারি দামে নৌকা কিনে বিবিধ যান বাহনে নিয়ে যান।৮ থেকে ১০ হাত দৈর্ঘ্যরে নৌকা চার-পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নৌকা বড় হলে দামও বাড়ে। সেগুলোর মুল্য চুক্তি মোতাবেক ১৩ থেকে ১৫ হাজার টাকার মধ্যে তৈরি করে দেয়া হয়।