কালীগঞ্জ উপজেলার তিল্লা বালিয়াডাঙ্গা যাবার সড়ক চলাচলে মারাতœক ভাবে অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। সামান্য বর্ষা হলে কোন যানবাহন চলচল করতে পারছে না। যাও চলাচল করে জীবনের ঝুকি নিয়ে তাদের যেতে হচ্ছে। এ সড়কটি কালীগঞ্জ হয়ে বালয়াডাঙ্গা, হাকিমপুর, চৌগাছা যাওয়ার একমাত্র সড়ক। সড়কে ছোট-বড় গর্তে বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে এ রাস্তায় সাধারন মানুষের জনদুর্ভোগের শেষ নেই। রাস্তাটি অত্যান্ত ব্যাস্ততম, সর্বসময় যানবাহন চলাচল করে থাকে। বর্তমানে রাস্তাটি আগের মত ব্যাস্ততম নেই শুধু মাত্র রাস্তা খারাপের কারনে। রাস্তা খারাপের কারণে বিকল্প সড়ক দিয়ে বিভিন্ন যানবাহন ও মানুষ চলাচল করছে।
বিশেষ করে এ সড়কে দিন রাত সর্বসময় ইট ভাটার ট্রাক ও ট্রাকটরের চলাচলের কারণে কার্পেটিং রান্তা উঠে গিয়ে বড় বড় খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে পাঁচ থেকে ছয়শ’ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাসহ মালবাহী ট্রাক,ছোট-বড় বিভিন্ন প্রকার যানবাহন চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। যে কারণে প্রতিদিনই ঘটছে বিভিন্ন দুঘর্টনা, ফলে জনসাধারনের ও যানবাহনের ক্ষতি হচ্ছে। এ বেহাল দশা থেকে কবে রক্ষা পাবে তা কেউ বলতে পারে না। সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তে বর্ষার পানি জমে রয়েছে মটর সাইকেল ও যানবাহন চলাচলের সময় বুঝা যায়না পানি জমে থাকা গর্ত গুলো।
এ রাস্তায় কার্পেটিং উঠে যাার কারণে জনজীবনে নেমে এসেছে দুর্বিষহ দুর্ভোগ। স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ছাড়াও স্থানীয় কৃষকদের মাঠের ফসল তোলা থেকে শুরু করে সব ধরনের কাজেই পড়তে হচ্ছে সীমাহীন ভোগান্তিতে। স্থানীয় সরকার বিভাগ, সড়ক বিভাগ, উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের কেউই এগিয়ে আসছে না জনসাধারন ও যানবাহন চলাচলের উপকারে। পথচারী, স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা ও মাঠের ফসল বাড়িতে আনতে দুর্ভোগের শেষ থাকে না। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ ও বিভিন্ন্ ধরনের যানবাহন চলাচল করে থাকে। বিশেষ করে চলতি বর্ষায় রাস্তায় হাঁটু পানি বেধে রয়েছে, রাস্তায় কার্পেটিং উঠে যাবার কারণে চলাচলে মারাতœক ঝুকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাস্তা দিয়ে ইটভাটার ট্রাক,ট্রাকটর, পাওয়ার টিলার অতিরিক্ত চলাচলের কারণে রাস্তা ভেঙে ও রাস্তার পিচ পাথর উঠে হাওয়ায় পথচারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। স্কুল, কলেজ, প্রাকমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের যেতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বর্ষার পানি রাস্তায় জমে থাকায় রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করা শিশুদের জন্য চরম কষ্টদায়ক। বিশেষ করে সন্ধার পরে যারা চলাচল করে তাদের জন্য বেশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। সড়কের বিভিন্ন জায়গায় পিচ-খোয়া উঠে গেছে অনেক আগেই। এখন সেখানে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় খানাখন্দের। ফলে সড়কে প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। বৃষ্টি হলে পানি জমে দুর্ভোগ চরমে পৌঁছায়। এই সড়কে সাধারন মানুষের ও যানবাহনের বেহাল দশায় পরিনত।কিন্তু সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা এ সড়কটি মেরামত না করে নিরব দর্শকের ভুমিকায় রয়েছে। সংস্কারের অভাবে সড়কের পুরোটাই খানাখন্দে ভরে গেছে। ছোট-বড় গর্ত এড়িয়ে যানবাহন চলছে এঁকেবেঁকে ও জীবনের ঝুকি নিয়ে। গর্তের অনেক জায়গায় পানি জমে থাকে। আবার অনেক জায়গায় গাড়ি চলার সময় আশপাশ ধুলাময় কোথাও কাদাময় হয়ে যাচ্ছে।
প্রতিদিন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা এ রাস্তা দিয়েই কাদা পানি জামা কাপড়ে লাগিয়ে স্কুলে আসা-যাওয়া করছে। রাস্তা সংস্কারের অতীব জরুরি হয়ে পড়েছে। বেহাল দশা সড়কের কারণে স্কুল কলেজ, মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রিরা নিয়মিত তাদের প্রতিষ্ঠানে আসতে পারে না। ইজিবাইক চালকরা বলেন গাড়িতে যাত্রি নিয়ে যাবার সময়, যাত্রীদের গালমন্দ আর গাড়ির ক্ষতি মেনে ওই পথ দিয়েই গাড়ি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে হচ্ছে। তবে মাস দুই ধরে রাস্তাটি এতই খারাপ হয়েছে ইজিবাইক, ভ্যান, আলমসাধু, পিকআপ,ট্রাক চলাচল করতে পারছে না। বর্তমানে রাস্তা খারাপের কারণে যানবাহন চলাচল কম হয়ে গেছে আবার যাত্রীদের নিকট থেকে ভাড়া ও বেশি নেওয়া হচ্ছে। অনেকে আছে এ রাস্তায় তারা গাড়ি চালাতে চাচ্ছে না, গাড়ি চলাচলে অনেকটা হ্রাস পেয়েছে।