‘ক্রেতা তুমি আপনজন’‘ঘোর বিপদেও তোমার আমারা সাথি সারাক্ষণ’এমন স্লোগানে লক্ষ্মীপুরে বাস্তবায়ন দেখিয়েছেন ওয়াটন। কিস্তি ক্রেতা সুরক্ষায় শনিবার ওয়ালটন প্লাজা লক্ষ্মীপুর শাখায় কিস্তি ক্রেতা মৃত দেলোয়ার হোসেনের ছেলে আনোয়ার হোসেন এর হাতে ৫০ হাজার টাকা ও অপর ক্রেতার সন্তান আবু বকর সিদ্দিক মারা যাওয়ায় ওয়ালটনের ক্রেতা নুর হোসেনকে সুরক্ষা সহায়তায় ২৫ হাজার টাকা প্রদান করেন ওয়ালটন। এসময়ে মৃত ক্রেতার সন্তানের হাতে ও ক্রেতার সন্তান মারা যাওয়ায় ক্রেতার হাতে নগদ টাকা তুলে দেন ডিভিশনাল ক্রেডিট ম্যানেজার মুমিনুল হকসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা। উপস্থিত ছিলেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আহম্মদ ফেরদৌস মানিক,জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহাদাত হোসেন শরীফ, ওয়ালটন প্লাজা ম্যানেজার মোস্তফা কামাল, মুমিনুল ইসলাম, সার্ভিস পয়েন্টের ম্যানেজার শরীফ খালেদ রহমান ও সোনাইমুড়ী প্লাজার ম্যানেজার আবদুর রহিম এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
ক্রেতার ছেলে আনোয়ার হোসেন বলেন,মাত্র সাড়ে ৬ হাজার টাকা ডাউনপেমেন্ট দিয়ে কিস্তি সুবিধায় ওয়ালটন প্লাজা থেকে একটি স্মার্টফোন কিনেছিলো তার বাবা দোলোয়ার হোসেন। এরপর ব্রেন স্ট্রোক করে তার বাবা মারা যায়। বাবাকে হারিয়ে পরিবারটি দু’চিন্তাকগ্রস্থ হয়ে পড়লেও এর মধ্যে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ওয়ালটন। কোন কিস্তি পরিশোধ করতে হয়নি তাদের। ওয়ালটন প্লাজার ‘কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষা নীতির’ আওতায় উল্টো তাদের পরিবারের জন্য ওয়ালটন নগদ ৫০ হাজার টাকা তার হাতে তুলেদেন ওয়ালটন। পরিবারকে দেওয়া হয়েছে আর্থিক সহায়তা। বাকি সব কিস্তি মওকুফ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এমন অসহায় পরিস্থিতিতে পরিবারের পাশে দাঁড়ানোয় ওয়ালটন প্লাজা কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানায় তিনি। তার মতে ক্রেতাদের জন্য ‘কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষা নীতি’ ওয়ালটনের এ উদ্যোগ যুগান্তকারী।
অপরদিকে ওয়ালটনের কিস্তি ক্রেতা সুবিধার বিষয়টি আগে থেকে জানতেন ওয়ালটন থেকে ফ্রিজ ক্রেতা নুর হোসেন। কিস্তি চলমান থাকা অবস্থায় ক্রেতা নুর হোসেন এর ১০ মাস বয়সের ছেলে আবু বক্কর চলতি বছর ২২ মার্চ তারিখে জ¦রে মারা যায়। এ অবস্থায় ‘কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষা নীতি’র আওতায় মৃত গ্রাহকের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে ওয়ালটন প্লাজা। ক্রেতা নুর হোসেনকে ২৫ হাজার টাকা সহায়তা দিচ্ছে ওয়ালটন প্লাজা।
ওয়ালটন প্লাজা ম্যানেজার মোস্তফা কামাল বলেন, কিস্তি চলমান থাকা অবস্থায় ক্রেতার মৃত্যু হলে পণ্যমূল্যের ভিত্তিতে ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ এবং তার পরিবারের কোনো সদস্য মৃত্যুবরণ করলে ২৫ হাজার থেকে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত সহায়তা দিচ্ছে ওয়ালটন প্লাজা। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পণ্যের অনাদায়ী কিস্তির টাকা সমন্বয়ের পর অবশিষ্ট টাকা ক্রেতা বা তার পরিবারকে দেওয়া হচ্ছে।
ওয়ালটন এর ডিভিশনাল ক্রেডিট ম্যানেজার মুমিনুল হক বলেন, ক্রেতা মারা গেলে কিস্তি মওকুফসহ আর্থিক সহায়তা দেওয়া ওয়ালটন প্লাজার একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। বিশ্বে এমন উদ্যোগের উদাহরণ কেবল ওয়ালটন প্লাজা। কিস্তিতে পণ্য কিনে কিস্তি পরিশোধের আগে মারা গেলেও পণ্যের কোনো দায়ভার গ্রহণ করতে হয় না পরিবারের সদস্যদের। ক্রেতাদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার জন্য আমাদের এ উদ্যোগ।