কুড়িগ্রামে গত শনিবার দুপুর থেকে রোববার দুপুর পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এসময়ে এ জেলায় সর্বোচ্চ ১২৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেন জেলার রাজারহাট উপজেলার কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: তুহিন মিয়া।
ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে জেলার নিচু এলাকার রোপা আমন ও সবজি ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বৃষ্টিপাত বন্ধ ও দ্রুত পানি সরে না গেলে তলিয়ে যাওয়া ফসল খেত নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। সদর উপজেলার বিসিক শিল্প নগরী এলাকার কৃষক চাঁদ মিয়া জানান, টানা বৃষ্টিতে ১৫ দিন আগে লাগানো আমন ক্ষেত তলিয়ে গেছে। দ্রুত পানি নেমে না গেলে লাগানো আমনের চারা নষ্ট হয়ে যাবে।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, অতি বৃষ্টির কারণে জেলায় ৩৩৫ হেক্টর জমির রোপা আমন ক্ষেত ও ৫০ হেক্টর জমির সবজি সম্পুর্ণরূপে পানির নিচে তলিয়ে গেছে। তবে পানি দ্রুত সরে না গেলে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করছে কৃষকরা।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত জানান, বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাওয়া আমন ক্ষেত নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা তেমন নেই। কেননা বন্যা না হলে বৃষ্টির পানি দ্রুত নেমে যাবে এবং এতে ফসলের কোন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
অন্যদিকে বৃষ্টিপাতের ফলে জেলা শহরের হাসপাতালপাড়া, হাটিরপাড়, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন, পিটিআইসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষজন। এদিকে বৃষ্টিপাতের ফলে জেলার উপর দিঢে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমারসহ ১৬টি নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে নদ-নদীগুলোর পানি এখনও বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় সবকটি নদনদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার মাত্র ৮ সে.মি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।