কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নতুন স্কুল ভবন নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পেলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।
রোববার (১৩ আগস্ট) দিনব্যাপী রংপুর আরডিআরএস এর বেগম রোকেয়া অডিটোরিয়ামে আয়োজিত প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা মানসম্মত করার বিষয়ে মতবিনিময় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন অবকাঠামো উন্নয়ন বিষয়ক বিভাগীয় কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ইতোমধ্যে দেশের বেশ কয়েকটি উপজেলায় ৬৭ জন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা প্রকৌশলীর তালিকা করা হয়েছে। তাদের দেয়া হয়েছে সতর্ক বার্তা।
প্রাথমিক বিদ্যালয়কে আধুনিকতার ছোঁয়াসহ শ্রেণীকক্ষকে নান্দনিক এবং খেলাধুলার জন্য মাঠকে উপযোগী করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে ফরিদ আহাম্মদ বলেন, উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রাথমিক শিক্ষাকে এগিয়ে নেয়ার চ্যালেঞ্জ নিয়েছে মন্ত্রণালয়। শিক্ষকদের যে সব দাবি রয়েছে তা পূরণে সচেষ্ট আছেন প্রধানমন্ত্রী। এই শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে অনেকগুলো পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সরকারের কাছে প্রস্তাবও দেয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই উল্লেখযোগ্য পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করা হবে।
আগামী বছরের শুরু থেকে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রমকে গতিশীল করা হবে জানিয়ে সচিব বলেন, স্কুলে শিশুবান্ধব শ্রেণী কক্ষসহ মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম চালু করা হবে। থাকবে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতাসহ সব ধরনের অধুনিক সুযোগ সুবিধা।
বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আয়োজনে কর্মশালায় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত, বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক মিজানুর রহমান, এলজিইডির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এনামুল হক, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মীর আবদুস সহিদ, বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মুজাহিদুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসানসহ বিভাগের আট জেলা ও ৫৮ উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রকৌশলীরা কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।