দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় অনাবৃষ্টির কারণে কাহারোল উপজেলা ধীর গতিতে এবং সেচ দিয়ে আমন চাষিরা আমন ধান লাগিয়েছেন। তবে শেষ শ্রাবনে শেষের বৃষ্টির ছোয়াতে লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী কৃষি বিভাগ।
কাহারোল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে চলতি মৌসুমে এবার উপজেলায় ১৫হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। বৃষ্টির কারণে এবার কিছুটা আমন ধান রোপনে বিলম্ব হয়। গত ৩দিনের শ্রাবনের বৃষ্টিতে কাহারোল উপজেলার আমন চাষিরা আমন ধানের চারা রোপনে ব্যাস্ত সময় পার করছেন। কৃষি বিভাগ বলছেন, বৃষ্টির কারণে যেসকল জমিতে পানি ছিল না সেইগুলি আমন ধান লাগিয়েছেন আমন চাষিরা।
গতকাল উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের কৃষক সুরেশ চন্দ্র রায় জানান, তিনি এবার ৩একর জমিতে ৩৪ জাতের ধান আবাদের জন্য দোগচী করেছিলেন, কিন্তু পানির কারণে ধান রোপনে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। তবে কয়েকদিনের বৃষ্টিতে জমিতে পানি ধরেছে এবং আজকে কামলা দিয়ে চারা রোপন করছে। অপর কৃষক সুলতান জানান, গত কয়েকদিনের পানিতে উপজেলার আমন চাষিদের আশীর্বাদ হয়ে উঠেছে। কাহারোল কৃষি বিভাগ জানিয়েছেন, আগামী ৪-৫ দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ অর্জিত হয়ে অতিরিক্ত কিছু জমিতে আমন ধান চাষ করবে আমন চাষিরা।
উপজেলার কৃষক আবদুস সাত্তার জানান, গত বোরো মৌসুমে বোরো ধানের উৎপাদন ভালো হয়েছিল এবং বর্তমানে বাজারে ধানের দাম বেশি তাই কৃষকেরা আমন ধান লাগানোর জন্য কোমর বেধে নেমেছে মাঠে।
কাহারোল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা মল্লিকা রানী সেহানবীশ জানান, কৃষিভিত্তিক কাহারোল উপজেলা সবসময় খাদ্য উদ্ভত্ত থাকে। করোনাকালেও এর বত্যয় হয়নি। তিনি বলেন বৃষ্টি কিছুটা দেরিতে হলো চাষিরা সময়মত তাদের আমন ধানের চারা জমিতে লাগিয়েছেন। কৃষি বিভাগ কৃষকদের আমন চাষের জন্য সর্বপ্রকার সহযোগীতা ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।