মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কিটের সংকটে বন্ধ রয়েছে ডেঙ্গু পরীক্ষা।
চলতি মাসের গত ৯ আগস্ট থেকে হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষা বন্ধ থাকায় রোগীরা ছুটছেন ক্লিনিক গুলোতে। এই সুযোগে ক্লিনিক গুলো ডেঙ্গু পরীক্ষার বাড়তি টাকা আদায় করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সরকারি হাসপাতালের তুলনায় ক্লিনিকে ডেঙ্গু পরীক্ষায় রোগীদের কয়েক গুণ বেশি টাকা খরচ হচ্ছে। টাকার অভাবে অনেক রোগী পরীক্ষা করাতে পারছেন না। সরবরাহ না থাকায় হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষা করা যাচ্ছে না বলে স্বীকার করেছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
তবে রোগীদের অভিযোগ, ক্লিনিক ব্যবসা ধরে রাখতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট সংগ্রহে গড়িমসি করছে।
জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ জ¦রের ক্ষেত্রে রোগীদের ডেঙ্গু পরীক্ষার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। জুলাই মাসে গজারিয়া উপজেলায় সাধারণ জ¦র ও ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়।
রোগীরা জানান, হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য ৫০ টাকা নেওয়া হতো। সেখানে বন্ধ হওয়ায় ক্লিনিকে ডেঙ্গু পরীক্ষায় নিচ্ছে ৫০০ টাকা।
উপজেলার বাউশিয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর সিকদার জানান, শনিবার হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য গেলে কিট না থাকার অজুহাতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। জানানো হয় কিট নেই।
গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুবাশ্বির বিনতে আলম জানান, ডেঙ্গু পরীক্ষার কিটের জন্য চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। কবে নাগাদ কিট পাওয়া যাবে তা নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না। কিট এলেই হাসপাতালে পুনরায় পরীক্ষা শুরু হবে।