ওয়াজেদ মোল্লা, পেশায় ভ্যান চালক। ভ্যান চালিয়ে যা উপার্জন করেন তা দিয়ে কোনমতে ৫ জনের সংসার চালান। প্রতিদিনের মত বাড়ি থেকে বের হন ভ্যান নিয়ে। কিন্তু ঠক প্রতারকে যে দুনিয়া ভর্তি, তা বুঝে উঠতে পারেননি ওয়াজেদ। যাত্রী সেজে দু’জন ওঠেন তার ভ্যানে। কিন্তু কে জানতো ভ্যানটি তাকে হারাতে হবে। ৮০০ টাকা ভাড়া মিটিয়ে ওয়াজেদকে অন্য একটি জেলায় নিয়ে যান যাত্রীরা। এরপর ঘটনাস্থল সান্দিয়ারা নামক স্থানে গিয়ে যাত্রীরা দোকান থেকে বিস্কুট কিনতে পাঠায় ওয়াজেদকে। কিন্তু ফিরে এসে দেখেন ভ্যান নিয়ে উধাও যাত্রীরা। ভ্যান হারিয়ে এখন ওয়াজেদ নি:স্বপ্রায়।
এমন ঘটনা ঝিনাইদহের শৈলকুপার। শুধু ওয়াজেদই না, সম্প্রতি ঘটা এমন আরও একটি ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন আবু বক্কর সিদ্দিকি নামে এক ভ’ক্তভোগী। শৈলকুপা উপজেলার গাড়াগঞ্জ নামক স্থান থেকে কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার মধুপুর বাজারে যাওয়ার জন্য৩জন যাত্রী নিয়ে রওনা দেন আবু বক্কর। এরপর মধুপুর আখ সেন্টারের নিকট পৌছালে ৩যাত্রী তাকে অজ্ঞান করে তাকে ফেলে দিয়ে ভ্যান নিয়ে পালিয়ে যায়। উপায়ন্ত না পেয়ে তিনি ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
জানা যায়, সম্প্রতি শৈলকুপা জুড়ে বেড়েছে এসব চোরের উৎপাত। সেখানে যাত্রী সেজে ভ্যানে উঠে সুবিধামত জায়গায় গিয়ে অজ্ঞান করে অথবা কোন কিছু কিনে আনার কথা বলে ভ্যান নিয়ে চম্পট দেন তারা। এমন কয়েকটি ঘটনা ঘটার পরে আতঙ্ক বিরাজ করছে ভ্যান চালকদের মধ্যে। তবে এসব ঘটনা অধিকাংশই ঘটছে দিনের বেলায়। হাফিজুল নামের এক ভ্যান চালক বলেন, এভাবে দিনের আলোয় যাত্রী সেজে ঠকিয়ে ভ্যান চুরি হতে থাকলে ভ্যান চালানো কষ্টকর হয়ে যাবে।
আরেক ভ্যানচালক কবির বলেন, এসব চোরদের শনাক্ত করে অতিদ্রুত আইনের আওতায় না আনলে এমন ঘটনা বাড়তেই থাকবে। এমন হলে ভ্যান চালানো বাদ দিয়ে দেব।
এমন ঘটনায় শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, এমন ঘটনা শুনেছি। এসব চোরদের শনাক্ত করতে পুলিশ কাজ করছে। আশা করি অতি দ্রুত তাদের ধরে আইনের আওতায় আনতে পারবো।