রাজশাহীর তানোরে নির্মানের দু' মাসের মধ্যেই আবারো ঝুকিতে পড়েছে চন্দন কোঠার সেই ব্রীজ। নিম্ন মানের সামগ্রী দিয়ে নির্মান করা ওই ব্রীজের মুখের দুই পার্শের রাস্তা যেন তেন ভাবে ইট ছলিং করা হয়েছে।
ব্রীজের মুখে ছলিং করা সেই ইট সরে গিয়ে এলোমেলো হয়ে পড়ায় মারাত্তক ঝুকি নিয়ে ছোট ছোট ভুটভুটি, অটো ও মটরসাইকেল চলাচল করলেও চলাচল করতে পারছে না ভারী যানবাহন। অল্প দিনের মধ্যেই ঝুকিতে এই ব্রীজ।
তানোর উপজেলার কলমা ও কামারগাঁ ইউনিয়ন বাসীর জন্য অতি গুরুত্ব পূর্ণ ওই সড়কটি তৈরি করেন বর্তমান সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী। ফলে, দুর্ভোগ কমে আসে ওই দুই ইউনিয়নের হাজারো মানুষের।
সড়ক নির্মানের সময় ওই সড়কের চন্দন কোঠা গ্রামের পূর্ব দিকে নির্মান করা হয় ওই ব্রীজটি। নির্মানের অল্প দিনের মধ্যেই ঝুকি পড়া ব্রিজটি ভেঙ্গে সম্প্রতি সেখানেই আবারো নতুন ভাবে ৭৫লাখ টাকা ব্যায়ে নির্মান করা হয় ব্রিজ।
তানোর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অধিদপ্তরের আওতায় ব্রীজটি নির্মান করেন তানোরের কামারগাঁর জৈনক ঠিকাদার সেকেন্দার আলী। ওই ব্রিজ নির্মানে লোকসান হবে এমন কথা জানিয়ে যেনতেন ভাবে নির্মান কাজ সম্পূর্ণ করেন।
এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন নির্মানের সময কর্তৃপক্ষকে একাধীকবার জানালেও ক্ষমতাধর ওই ঠিকাদারের এই কাজের বিষয়ে কর্তৃপক্ষ শুরু থেকেই রহস্য জনক কারণে ছিলো উদাসীন।
এলাকাবাসীসহ ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা বিভিন্ন যানবাহনের চালকরা বলেন, ব্রিজ নির্মানের পর ব্রিজের মুখের সংযোগ সড়কটি রাস্তার কয়েক ফিট যেনতেন ভাবে দায়সারা ভাবে ইট বিছিয়ে দেন ঠিকাদার। ওই ইট গুলো সরে গেছে।
জীবনের ঝুকি নিয়ে যানবাহন চালিয়ে ওই ব্রিজের উঠতে হচ্ছে। ফলে, প্রায় ঘটছে ছোট বড় দূর্ঘটনা। ভারী যান বাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। দ্রুত ব্রীজটির মুখের সংযোগ সড়ক ম্যারামত করা না হলে ব্রীজটি দিয়ে চরাচলে ঘটতে পারে প্রাণ হানী।
তানোর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সুত্রে জানা গেছে, গত ৫ জুন ওই ব্রীজটির উদ্বোধন করেন সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, তানোর উপজেলার কামারগাঁ ইউপির হরিপুর হয়ে কলমা ইউপির চন্দনকোঠা হয়ে দরগা ডাংগা যাওয়া যায় ওই রাস্তা দিয়ে। কলমা ও কামারগাঁ ইউপির যোগাযোগের সেতু বন্ধন রাস্তাটি।
ব্রীজের দুমুখে কয়েক হাত করে হেয়ারিংবন্ড করার কথা থাকলেও যত্রতত্র ভাবে ইট বিছিয়ে রাখা হয়েছে। যার কারণে ইটগুলো এলোমেলো ও ফারাক হয়ে পড়ে রয়েছে।
স্থানীয় রা জানান, পুরাতন ব্রীজটাই ঝুঁকি মুক্ত ছিল। কিন্তু নতুন ব্রীজটি নির্মাণের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত চরম ঝুঁকি তে রয়েছে। প্রায় সপ্তাহ ধরে ভারি মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে।
ব্রীজের উত্তর দিকে রয়েছে খাল। খালে তেমন স্রােত নেই। তারপরও ব্রীজের দু মুখ থেকে মাটি সরে যাচ্ছে। ইটগুলো এমন ভাবে আছে ভারি ভ্যান অটো নিয়ে যাওয়া যাচ্ছেনা। প্রতি শুক্রবার চৌবাড়িয়া হাটে গরু নিয়ে যায় রাস্তাটি দিয়ে। কিন্তু অবস্থা এতই খারাপ গরু বহন করা গাড়ি নিয়ে গেলেই উল্টে যাবে।
মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে ঠিকাদার সেকান্দর আলী মোল্লা বলেন, ব্রীজের কাজের শুরু ডাইবেশন ও পুরাতন ব্রীজ ভাঙ্গার জন্য তেমন বরাদ্দ ছিলনা। এদুটো কাজ করতেই সময় লেগেছে।
ব্রীজের দুপারে হেয়ারিংবন্ড করা আছে। এগুলো বসলে কার্পেটিং করতে হবে। হেয়ারিংবন্ডের ইটগুলো এলোমেলো ও ফাঁকফোকর হয়ে পড়ে রয়েছে জানতে চাইলে তিনি জানান কাজ করতে পেরেছি এটাই অনেক বড় ব্যাপার বলে এড়িয়ে যান তিনি।
এবিষয়ে তানোর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার (পিআইও) কাওছার আহম্মেদ বলেন, আমি নতুন এসেছি, ব্রীজ দেখে যদি সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে ঠিকাদারকে দিয়ে মেরামত করানো হবে।