সহজ শর্তে মোটা অংকের ঋণ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে দ্রারিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশন নামের ভূয়া এনজিও’তে গ্রাহকদের কাছ থেকে সঞ্চয়ের নামে জমা নেওয়া লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া নারী সহ প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে আটক করেছে গ্রামবাসী। পরে নারী সহ দুই প্রতারককে গ্রেপ্তার করে থানা নিয়ে যায় থানা পুলিশ।
ঘটনাটি দুর্গাপুর উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১৪ আগস্ট রাতে ভূক্তভোগী গ্রাহক শ্যামপুর গ্রামের নিরব মোল্লা বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত দুই প্রতারক সহ চারজনের বিরুদ্ধে দুর্গাপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানাগেছে, দ্রারিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশন নামের এনজিও মোল্লাপাড়া ব্রাঞ্চের কর্মী পরিচয় দিয়ে বাগমারা উপজেলার হাট মাধনগর খয়রা গ্রামের মৃত ফরজ আলীর পুত্র আতাউর রহমান (৩৩) ও একই উপজেলার বাড়িগ্রাম এলাকার মৃত বজের আলীর কন্যা বিলকিছ আরা লিপি (৩৭) দুর্গাপুর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামে বেশ কয়েকদিন থেকে সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার নামে এনজিও’র দল গঠন করতে থাকে এবং প্রায় ৩০জন মহিলা গ্রাহকদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকার ঋণ প্রদানের জন্য ঋণ প্রস্তাবের টাকার পরিমানের শতকরা ১০ ভাগ টাকা সঞ্চয় হিসেবে লক্ষ লক্ষ টাকা জমা নেন। সঞ্চয়ের টাকা জমা দেওয়া ঋনগ্রহীতাদের আগামী সপ্তাহে ঋণ প্রদান করবেন বলে জানান দুই প্রতারক।
ঋন নিতে আগ্রহী গ্রাহকরা স্থানীয় ইউপি সদস্যদের কাছে দারিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশন নামের এনজিও’র খোঁজ খবর নিতে বললে স্থানীয় ইউপি সদস্য আমজাদ হোসেন খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন মোল্লা পাড়ায় এই নামের কোন এনজিও নেই।
১৪ আগস্ট সোমবার বিকেলে ওই দুই প্রতারক শ্যামপুর গ্রামে আসলে গ্রামবাসী তাদেও আটক করে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে দুই প্রতারককে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যান। পরে রাতে ভূক্তভোগী গ্রাহক নিবর মোল্লা বাদী হয়ে আটক দুইজন সহ চারজনকে আসামি করে প্রতারনার মাধ্যমে অসহায় মানুষের লক্ষ লক্ষ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। ১৫ আগস্ট আসামি টাকা হাতিয়ে নেওয়া দুই প্রতারককে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করেছে পুলিশ।
এ বিষয়ে দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজমুল হক বলেন, কথিত ভূয়া এনজিও’র নাম ব্যবহার করে অসহায় মানুষদের ঋণ দেওয়ার নামে অগ্রিম সঞ্চয় হিসেবে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। গ্রেপ্তারকৃত দুই প্রতারক সহ চারজনের নামে মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদেও আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।