ইতোমধ্যে অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হয়েছেন মিচেল মার্শ। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে অজিদের নেতৃত্ব দেবেন এই অলরাউন্ডার। একই সফরের ওয়ানডে সিরিজেও তার অধিনায়কত্ব করার সম্ভাবনা আছে। ইনজুরিতে আক্রান্ত নিয়মিত অধিনায়ক প্যাট কামিন্সই জানিয়েছেন এ তথ্য। সেই সঙ্গে অধিনায়ক মার্শকে প্রশংসায় ভাসিয়ে অস্ট্রেলিয়ান পেস তারকা বলেছেন, ভবিষ্যতে অজি ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে মার্শকেই তিনি উপযুক্ত মনে করেন। কামিন্স এই মুহূর্তে কবজির চোট থেকে সেরে ওঠার লড়াইয়ে আছেন। আগামী ৭ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে অস্ট্রেলিয়া। এরপর ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ভারতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। ভারত সিরিজ দিয়েই মাঠে ফেরার ইচ্ছে প্রকাশ করলেন কামিন্স, ‘খুব খারাপ নয় (চোটের অবস্থা)ৃ দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে আমি হয়তো শেষ দিকে যাব, তবে সম্ভবত বিশ্বকাপের ঠিক আগের (ভারতে) ওয়ানডে সিরিজেই (খেলার) সম্ভাবনা বেশি। আর কয়েক সপ্তাহেই আশা করি ঠিক হয়ে যাব।’ দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে তাই মার্শকেই অধিনায়ক হিসেবে দেখছেন কামিন্স, ‘ওয়ানডেতে আমরা এমনিতেই অধিনায়কত্ব ভাগাভাগি করেই করছিলাম। এবারও দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়ার পর আমরা ভেবে দেখব। তবে ভালো ব্যাপার হলো, আমাদের বেশ কিছু বিকল্প আছে। মিচ (মার্শ) সম্ভবত সবচেয়ে অবধারিত বিকল্প, যেহেতু সে টি-টোয়েন্টির নেতৃত্বও দিচ্ছে। সত্যি বলতে, বিশ্বকাপের আগে এত বেশি ওয়ানডে আছে যে আরো কেউ দু-একটি ম্যাচ খেলতে না পারলেও অবাক হব না। এমনও হতে পারে যে মিচ কোনো ম্যাচ খেলতে পারল না, তখন অন্য কেউ নেতৃত্ব দেবে।’ মার্শের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘সে এমনিতেও দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ, সত্যিকারের এক নেতা। গত কয়েক বছরে তার শরীরটা কেবল বারবার বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। হেডিংলি টেস্টে তার সেঞ্চুরিটি শুধু তাকে দলে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। তার অস্ত্রোপচার হয়েছিল, বলা হয়েছিল যে সে আর বোলিং করতে নাও পারে, কিন্তু গত ১২ মাসে কঠোর পরিশ্রম করে লাল বলের ক্রিকেটে আবার নিজেকে মেলে ধরেছে। আমরা সবাই তার জন্য দারুণ খুশি। মাঠের বাইরেও সে অসাধারণ এক ছেলে। তার প্রাণশক্তি অন্যান্যের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে। তার সঙ্গ সব সময়ই দারুণ, খুবই প্রাণবন্ত ও মজার। আবহ ঠিক রাখার কাজটি অন্য যে কারো চেয়ে ভালো পারে সে। টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডের জন্য সে দারুণ হবে।’