কানাডার নাগরিকত্ব ছেড়ে ভারতের নাগরিক হলেন অভিনেতা অক্ষয় কুমার। মঙ্গলবার ভারতের স্বাধীনতা দিবসে টুইটারে নাগরিকত্বের সনদ টুইট করেছেন অক্ষয়। লিখেছেন, ‘দিল এবং সিটিজেনশিপ দুটোই এখন হিন্দুস্তানি।’ ২০১৯ সালে এক লিডারশিপ সামিট সেশনে অক্ষয় জানিয়েছিলেন শিগগির তিনি ভারতীয় পাসপোর্টের জন্য আবেদন করবেন। কিছুদিন আগে অক্ষয় কুমার জানিয়েছেন, ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য তিনি আবেদন করেছেন। কিন্তু কোভিডের কারণে আড়াই বছর সময় নষ্ট হয়। অবশেষে তিনি ভারতের নাগরিকত্ব পেলেন। অক্ষয় কুমারের জন্ম পাঞ্জাবের অমৃতসরে। তার বাবা ছিলেন আর্মি অফিসার। ছোটবেলা থেকেই খেলায় আগ্রহ ছিল অক্ষয়ের। কলেজের পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি তায়কোয়ান্দোতে ব্ল্যাক বেল্ট পান। তারপর থাইল্যান্ডে গিয়ে মার্শাল আর্ট শেখেন। পরে কলকাতায় একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে কাজ করেন অক্ষয়। ঢাকায় একটি হোটেলে শেফের কাজও করেছেন। পরে মুম্বাই ফিরে মার্শাল আর্ট শেখানো শুরু করেন। সেই সময়ে তিনি পরিচালক-প্রযোজকদের নজরে পড়েন। ১৯৯০ এর দশকে অক্ষয়ের ক্যারিয়ার মোটেও সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল না। নিজের টানা ১৫ টি সিনেমা বক্স অফিসে হতাশাজনক পারফরম্যান্স করলে তখন তিনি ব্যবসার সন্ধানে কানাডা যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ২০১১ সালে কানাডার নাগরিকত্ব পান তিনি। এরপর থেকেই বিতর্কের মুখে পড়েন অক্ষয়। ২০১৯ সালে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের পূর্বে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে সাক্ষাতের পর অক্ষয় কুমারের নাগরিকত্বের ইস্যু নিয়ে আলোচনার সৃষ্টি হয়। কানাডা থাকাকালীন সময়ে অক্ষয়ের দুটি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় ছিল। অক্ষয়ের ভাগ্যের চাকা ঘুরে যায় এবং দুটি সিনেমাই বক্স অফিসে সুপারহিট হয়। তখন ভারতে ফিরে আবার সিনেমায় কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। বক্স অফিসে বর্তমানে অক্ষয়ের ‘ওএমজি টু’ ভালো ব্যবসা করছে। এছাড়াও তাকে দেখা যাবে ‘সুরারাই পত্তরু’ ছবিতে যা মুক্তি পাবে ১ সেপ্টেম্বর। তাকে আরও দেখা যাবে অ্যাকশন থ্রিলার ছবি ‘বড়ে মিয়া ছোটে মিয়া’তে টাইগার শ্রফের সঙ্গে। ছবিটি ২০২৪ সালের ঈদে মুক্তি পাবে। ‘হাউজফুল’-এর ফ্র্যাঞ্চাইজিতেও চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তিনি। এছাড়াও ‘হেরা ফেরি থ্রি’-তে দেখা যেতে পারে তাকে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া