সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ ১৫ জনের নামে মামলা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে যুবলীগ নেতা জনি মিয়াকে (৩৫) পায়ের রগ কেটে হত্যা করায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও তার ছেলে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানসহ ১৫ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করা হয়েছে।
বুধবার (১৬ আগস্ট) রাতে নিহতের পিতা মকসেন মিয়া উপজেলার তালশহর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো: আবু সামা, তার ছেলে উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো: আমির হোসনসহ ১৫ জনকে আসামি করে এ মামলা করেন।
পিতা-ছেলে দু’জনই আওয়ামী লীগ নেতা ও দলের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।এর আগে গত সোমবার রাতে উপজেলার তালশহর পশ্চিম ইউনিয়নের তালশহর বাজারের অদূরে ওই গ্রামের মকসেন মিয়ার ছেলে যুবলীগ নেতা জনি মিয়া ও আওয়াল মিয়া নামে (৪৭) দু’জনকে ছুরিকাঘাত করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তারা জনি মিয়ার দুই পায়ের রগ কেটে ফেলে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম করে বলে মামলায় অভিযোগ করেন নিহত জনির বাবা মকসেন মিয়া। আর আওয়ালকেও কুপিয়ে আহত করে। এ সময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে তাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে জরুরি বিভাগের কর্মরত চিকিৎসক তাদের ঢাকায় পাঠান। ঢাকায় যাওয়ার পথে রাত ২টার দিকে নরসিংদীতে জনি মিয়া মারা যান।মপ এ বিষয়ে তালশহর গ্রামে গিয়ে নিহত জনিসর স্ত্রী আসমা বেগমের সাথে কথা বললে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন,গত ইউনয়ন পরিষদ নিার্বচনে তার স্বামী জনি মিয়া নৌকা প্রতীকের মন্ােনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো.সোলায়মান মিয়ার নির্বাচন করায় আবু সামা এবং তার ছেলেরা আমার স্বামী জনির প্রতি ক্ষিপ্ত হয়েছিল এবং জনিকে প্রানে মারার হুমকি দিয়েছিল সেই থেকে কয়েক বার জনিকে মারার জন্য চেষ্টা করে।কিন্তু এইবার আর আমার স্বামী আবুসামা এবং তার ছেলে সাচ্চু এবং আমির হাসেনের হাত থেকে রক্ষা পায়নি।আমি আমার স্বামীর হত্যাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবী জানায় এবং এই হত্যাকান্ড জড়িত সন্দেহে যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের সর্বোচ্ছ শাস্তি দাবী করি প্রশাসনের কাছে। এদিকে মামলার বাদী জনির বাবা মকসেন মিয়া বলেন,আমার ছেলে জনির ছোট ছোট তিনটি বাচ্চা রয়েছে।তাদের ভরণ-পোষনের দায়ীত্ব কে নেবে?আমি অচল মানুষ।এই ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে কি করব বুঝে উঠতে পারছি না।আমার মামলার আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবী জানায়। মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি শেষে আসামীদের মৃত্যুদন্ড যেন হয় এই প্রত্যাশা করি প্রশাসনের কাছে।
আশুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাহিদ আহমেদ জানান, বাদির লিখিত অভিযোগ পেয়ে হত্যা মামলা রজু করা হয়েছে। তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুগঞ্জ থানার এসআই মোতাহার হোসেন জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।