চিরিরবন্দরে শোকের মাসে জমকালো জন্মদিন উদযাপন করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুনীল কুমার সাহা। এ জন্মদিন উদযাপনকে নিয়ে চিরিরবন্দরে নেতাকর্মীদের মাঝে চলছে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া ও সমালোচনা।
জানা গেছে, গত ১৬ আগস্ট বুধবার উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় অফিসে, সভাপতির ব্যক্তিগত অফিসে ও উপজেলার ভূষিরবন্দরস্থ একটি পাঠাগার ক্লাবে হৈ-হুল্লোড় করে জমকালোভাবে জন্মদিন পালন করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুনীল কুমার সাহা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা জানান, ইতিহাসের পাতায় সবচেয়ে জঘন্যতম ও কলঙ্কের মাস শোকাবহ আগস্ট। এ মাসেই সংঘটিত হয়েছিল বাংলাদেশের ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকান্ড। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালোরাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিলো। শোকের মাসে কোন ধরনের আনন্দ উৎসবের আয়োজন করে না বাংলাদেশ আওয়ামীলী। সেখানে চিরিরবন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির জন্মদিন মহাধুমধাম হৈহুল্লোড় করে পালন করা হয়েছে।
গত বুধবার রাতে জন্মদিন পালনের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভাইরাল হওয়া ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায় তিনটি স্থানে আন্দন উৎসবের মধ্যে দিয়ে সভাপতি বাবু সুনিল কুমার সাহা নেতা কর্মীদের নিয়ে কেক কাটছেন। এতে উপজেলা জুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠে।
অপর এক নেতা বলেন, আমরা পুরো মাস জুড়ে শোক পালন করি। কিন্তু আমাদের উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কিভাবে শোকের মাসে এভাবে আনন্দ উলাøস করে নেতা কর্মীদের নিয়ে জন্মদিনের কেক কাটেন?
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক আরেক নেতা বলেন, একজন দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতা শোকের কালো ব্যাচ পরে নিজের জন্মদিন মহাধুমধাম করে পালন করে নিজেকে দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে।
চিরিরববন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ আবদুল আলীম সরকার বলেন, শোকের মাসে এভাবে জন্মদিন পালন করাটা ঠিক হয়নি। একটা মানুষের ভূল হয়ে গেছে, এটি নিয়ে মাতামাতির কি আছে ?
এ বিষয়ে সভাপতি বাবু সুনীল কুমার সাহা বলেন, আমার জন্মদিন আমি জানি না। কিছু নেতাকর্মীরা অনুরোধে কেক কাটা হয়েছে। আমি তাদের নিষেধ করেছিলাম, তারা বলেছে ১৫ আগস্ট পার হয়েছে এখন কেক কাটলে সমস্যা হবে না, তাই তাদের অনুরোধে কেক কেটেছি। তবে আমি বিব্রত ও প্রচন্ড অনুশোচনা ভোগ করছি।