শেরপুরের নকলা উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ১৪ হাজার ৩১৯ টি দরিদ্র বা সল্প আয়ের পরিবারের মাঝে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর ন্যায্যমূল্যের পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সকালে উপজেলার বানেশ্বরদী ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে টিসিবি’র পণ্য বিক্রি কার্যক্রম উদ্বেধন করা হয়েছে। এ সময় বানেশ্বরদী ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান উছমান আলী, বানেশ্বরদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহম্মেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাফিজুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক এ.এস.এম.বি করিম শাহজাহান, যুবলীগ নেতা মাজহারুল ইসলাম সিঞ্জু, ইউপি সচিব জাহিদ নেওয়াজ, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা-গবেষণা পরিষদ নকলা উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ও নকলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. মোশারফ হোসাইনসহ স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিবর্গ, ইউনিয়ন পরিষদে কর্মরত সকল গ্রাম পুলিশ, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, বিভিন্ন পেশা-শ্রেণীর সুবিধাভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ঠ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৪ হাজার ৩১৯ টি সুবিধাভোগী পরিবারের মধ্যে, ১নং গণপদ্দী ইউনিয়নের ১ হাজার ২৭০ টি পরিবার, ২নং নকলা ইউনিয়নের ১ হাজার ১২৯ টি পরিবার, ৩নং উরফা ইউনিয়নের ১ হাজার ৩শ টি পরিবার, ৪নং গৌড়দ্বার ইউনিয়নের ৮৭০ টি পরিবার, ৫নং বানেশ্বর্দী ইউনিয়নের ১ হাজার ৭০ টি পরিবার, ৬নং পাঠাকাটা ইউনিয়নের ১ হাজার ১৭০ টি পরিবার, ৭নং টালকী ইউনিয়নের ১ হাজার ৭০ টি পরিবার, ৮নং চরঅষ্টধর ইউনিয়নের ১ হাজার ২৭০ টি পরিবার, ৯নং চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের ১ হাজার ৩৭০ টি পরিবার ও পৌরসভার ৩ হাজার ৮শ টি পরিবারকে এই সুবিধাভোগীর আওতায় আনা হয়েছে। তথ্য মতে, চলতি আগস্ট মাসের জন্য বরাদ্দকৃত টিসিবি পণ্য প্যাকেজের প্রতিটি প্যাকেটে ৫ কেজি চাল যার মূল্য ধরা হয়েছে ১৫০ টাকা, ২ কেজি মসুর ডাল যার মূল্য ধরা হয়েছে ১১০ টাকা ও ২ লিটার সয়াবিন তেল যার মূল্য ধরা হয়েছে ২১০ টাকা। এ হিসেব মতে প্রতিটি পরিবারকে ৪৭০ টাকার বিনিময়ে আগস্ট মাসের টিসিবি প্যাকেজের প্যাকেট কিনতে হচ্ছে। ন্যায্যমূল্যে নিত্যপণ্য কিনতে পেরে খুশি দরিদ্র বা সল্প আয়ের পরিবারের লোকজন।