খুলনার পাইকগাছায় অজ্ঞান পার্টির ৪ সদস্যকে পুলিশ অটক করেছে। যাত্রীবেশে চালককে অজ্ঞান করে ইজিবাইক চুরির ঘটনায় পুলিশ চোরাই গাড়ীসহ আটক করেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। থানায় দায়েরকরা মামলা সূত্রে জানাগেছে, চলতি ৯ আগস্ট সঙ্গবদ্ধ চোররা ইজিবাইক চালক কয়রা উপজেলার অর্জুনপুরের মো. নুর ইসলাম গোলদারকে অজ্ঞান অবস্থায় পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে'র বারান্দায় রেখে হাসপাতাল ফটকের সামনে থেকে ইজিবাইক চুরি করে নিয়ে যায়। সূত্র বলছে, আন্তঃজেলা চোররা যাত্রীবেশে গাড়িতে উঠে কথোপকথনের একপর্যায়ে চালককে প্রাণ জুসে'র সাথে চেতনা নাশক মিশিয়ে তা পান করিয়ে এ ঘটনা ঘটায়। বিপদগ্রস্থ চালক নুর ইসলাম গোলদার থানা পুলিশের দ্বারস্থ হয়। পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে সহকারী পুলিশ সুপার (ডি সার্কেল) মো. সাইফুল ইসলাম ও পাইকগাছা থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ টিম অভিযান চালিয়ে খুলনার ডুমুরিয়ার ওয়াপদার মাথা হতে ইউসুফ আলীর ছেলে এ চক্রের হোতা মো. আনোয়ার, সোনাডাঙ্গা হতে আক্কাস আলীর ছেলে মো. আলামিন ও ইউসুফ ঢালীর ছেলে মো. আসাদুল ওরফে বাঁধন ও কয়রা সদর হতে আ. অহেদ মোল্লার ছেলে আ. সালামকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা এসআই অমিত কুমার দেবনাথ আন্তঃজেলা চোরদের স্বীকারোক্তি মতে আনোয়ার ও বাঁধনের হেফাজত থেকে চোরাই দুটি ইজিবাইক জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ইজিবাইক চালক নুর ইসলাম গোলদার বাদী হয়ে ১৭ আগস্ট পাইকগাছা থানায় মামলা করেছেন, যার নং-২৩। পাইকগাছা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, আন্তঃজেলা সঙ্গবদ্ধ গাড়ী চোররা পরিকল্পিত ভাবে প্রাণ জুসে চেতনা নাশক মিশিয়ে চালককে পান করিয়ে অজ্ঞান করে ইজিবাইক চুরি করে নিয়ে যায়। তিনি আরোও জানান, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে এ চক্রের সাথে জড়িত গ্রেফাতার চেষ্টা অব্যাহত আছে।