শেরপুরের ঝিনাইগাতী বিটিসিএল (টেলিফোন একচেঞ্জ)এর জায়গা ময়লা-আবর্জনার ভাগার ও পয়:নিষ্কাশনের জায়গায় পরিণত হয়েছে। কর্তৃপক্ষের চরম উদাসীনতা ও জনবল সঙ্কটে এ অবস্থা বলে এলাকাবসী মনে করেন। এছাড়াও বিটিসিএল একচেঞ্জের ম্যাপভূক্ত জায়গা ও রাস্তা বেহাত হয়ে যাচ্ছে। একচেঞ্জ এর একজন লাইনম্যান রয়েছেন। জানতে চাইলে তিনি জানান, কোনো কাজকর্ম নেই তাই অফিস খোলা হয় কমই। জানা যায় স্বাধীনতার পূর্বে সরকারী বার্তা আদান-প্রদানে এ স্থানে একটি শক্তিশালী ওয়ার্লেস অফিস স্থাপন করা হয়েছিল। ওয়ার্লেস এর মাধ্যমেই সীমান্ত অঞ্চলের বার্তা আদান-প্রদান করা হতো। স্বাধীনতার পর সেখানে সরকারীভাবে টেলিফোন একচেঞ্জ স্থাপন করা হয়। পরবর্তীতে মোবাইল ফোনের কল্যাণে টেলিফোন একচেঞ্জটি অকার্যকর হয়ে পড়ে। একচেঞ্জ থাকাকালীন অফিসটি চারদিকে খুঁটি ও তার কাটা তারে ঘেরা ছিল। কিšুÍ পরবর্তীকালে এনালগ সিস্টেমের পরিবর্তে ডিজিটাল সিস্টেমের পর অফিসের কদর কমে যায়। অরক্ষীত থাকায় অফিসটি ময়লা আবর্জনার স্থান হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। ঝিনাইগাতী সদর (ইউপি) চেয়ারম্যান মোঃ সাহাদৎ হোসেন বলেন এ অবস্থা খুবই দুঃখজনক এর সমাধানের চেষ্টা করব। এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্ববাহী কর্মকতা মোঃ ফারুক আল মাসুদ বলেন, সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকতাদের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করা হবে।