বরিশালের আগৈলঝাড়া সরকারী শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রী কলেজে কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার (১৭আগষ্ট) এইচএসসি পরিক্ষার বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষা দিচ্ছিল এই উপজেলার বাগধা স্কুল এ- কলেজের শিক্ষার্থী ফাতেমা আক্তার। পরীক্ষা হলে দায়িত্বরত শিক্ষক প্রভাষক ওই ছাত্রীর মাথায় থাপ্পর দেওয়ায় সে অসুস্থ হলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। ওই শিক্ষার্থী সম্পূর্ন পরীক্ষা দিতে পারেনি বলে দাবি করেছে শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থী অভিযোগ অস্বিকার করলেন অভিযুক্ত প্রভাষক।
বিলম্ব স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাগধা স্কুল এ- কলেজের ছাত্রী ফাতেমা আক্তার চলতি এইচএসসি পরীক্ষার একজন পরীক্ষার্থী। সে পরিক্ষার প্রথমদিন(১৭আগষ্ট) বৃহস্পতিবার বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষাদিতে উপজেলা সদরের সরকারী শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রী কলেজে কেন্দ্র অংসগ্রহন করে। বাংলা প্রথমপত্রের প্রথমে এমসিকিউ পরীক্ষা শেষে সৃজনশীল পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীদের হাজিরা খাতায় ভুলস্থানে স্বাক্ষর দেওয়ায় ওই কেন্দ্রে দায়িত্বরত সরকারী শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক রুহুল আমিন ওই ছাত্রীর মাথায় থাপ্পর দেয়। প্রভাষকের থাপ্পরে ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পরলে বাগধা স্কুল এ- কলেজের অধ্যক্ষ আবদুর রহমান তাকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
শিক্ষার্থী ফাতেমা আক্তার সুস্থ হয়ে শুক্রবার সাংবাদিকদের জানান, পরীক্ষার সময় হাজিরা খাতায় ভুলস্থানে স্বাক্ষর দেই সেইজন্য সরকারী শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক রুহুল আমিন স্যার আমার মাথায় থাপ্পর দেয়। তখন আমি অসুস্থ হয়ে পরি। আমি বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা সম্পূর্ন দিতে পারেনি। এখানের ডাক্তার (আজ) শুক্রবার দুপুরে আমাকে সিটিস্ক্যানের জন্য বরিশাল প্রেরন করেছে।
এব্যাপারে ওই পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বরত প্রভাষক রুহুল আমিন বলেন, আমি ওই পরীক্ষার্থীকে কোন থাপ্পর দেইনি। সে কি কারণে অসুস্থ হয়েছে তা আমি জানিনা।
সরকারী শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রী কলেজ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মো. মহিউদ্দিন আলী আজম বলেন, আমি ওই হলের সকলের সাথে কথা বলেছি। তারা কেউ শিক্ষার্থীকে থাপ্পরের কথা বলেনি। শিক্ষার্থী মিথ্যা কথা বলছে।
পরীক্ষা কেন্দ্রের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।