পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় ছিঁচকে চুরি বেড়েছে। জানা যায় ছিঁচকে চোরেরা তেঁতুলিয়া সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় মসজিদের বেটারী, মাইক, বসতবাড়ি বা চা বাগানের সেচ টিউবওয়েল হেড, স্যালো মেশিন ও পাথর ভাঙ্গা মেশিনের যন্ত্রাংশ, কারেন্ট লাইনের তার কেটে নিয়ে যাচ্ছে। তেঁতুলিয়া সদরের মমিনপাড়া, বারঘরিয়া, কৃষ্ণকান্ত জোত, ডাকবাংলো এলাকায় গত এক মাসের ব্যবধানে ডজনখানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। চলতি মাসের শুরুর দিকে তেঁতুলিয়া জেলা পরিষদ ডাকবাংলোর বৈদ্যূতিক মেইন লাইনের কয়েকশ গজ তার, দীর্ঘদিন চা বাগানে থাকা সেচ পাম্পের টিউবওয়েল, বারঘরিয়া ওয়াক্তিয়া মসজিদের বেটারি, কৃষ্ণকান্তজোত এলাকার তমিরুল, নজরুল ও আশরাফুলের পাথর সাইটের টিউবওয়েল হেড ভেঙ্গে নিয়ে গেছে। এভাবে ছিঁচকে চুরির কারণে সাধারণ মানুষ ঘরের বাহিরে ছোট খাটো জিনিসপত্র পহরা দিয়েও রাখতে পারছে না। অনুসন্ধানে জানা যায় তেঁতুলিয়া সদরের ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার কিছু উর্ত্তীবয়সী কিশোর সকাল-দুপুর-সন্ধ্যায় ডাকবাংলোর আশপাশে, নদীর ধারে, শিমুল গাছের নিচে, ঈদগা মাঠের আড়ালে মজমা বসায়ে গাজা সেবন করে। নেশার টাকা যোগাড় করতে ছোট খাটো চুরি সম্পাদনের পর চোরাই মালামাল তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর, শালবাহান রোড, কালান্দিগঞ্জ বাজার ও কবি নজরুল বাইপাস এবং রণচন্ডি বাজারে অবস্থিত বিভিন্ন ভাঙ্গারির দোকানে বিক্রি করে। বাজারের ওই সব ভাঙ্গারি দোকানীদের সংগে এই চোর গ্যাংকের মোবাইল নাম্বার সহ গোপন যোগাযোগ রয়েছে। ছিঁচকে চোরেরা মালামাল অনায়াসে বিক্রি দিয়ে জনসাধারণকে সর্বশান্ত করে তুলছে। ভুক্তিভোগী ব্যক্তিরা বলেন, এসব চুরি যাওয়া মালামালের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় কোন ডায়েরী গ্রহণ করে না। থানা পুলিশকে নাম সহ লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন। যে কারণে ভুক্তিভোগীরা থানায় চোরের নামে লিখিত অভিযোগ দিতে পারে না। এ বিষয়ে এলাকার সচেতনমহল উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আশু দৃষ্টি আকষর্ণ করছে।