জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যু নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় জেলার উজিরপুর উপজেলার চার ছাত্রলীগ নেতাকে সাময়িক বহিস্কার করেছে উপজেলা ছাত্রলীগ। একইসাথে তাদের স্থায়ী বহিস্কার করার জন্য জেলা ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে।
সাময়িক বহিস্কৃতরা হলেন-উপজেলার বামরাইল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান শান্ত, সদস্য সাইদ ফকির, গুঠিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজু হাওলাদার ও গুঠিয়া আইডিয়াল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি তাইজুল ইসলাম।
রোববার দুপুরে সাময়িক বহিস্কারের সত্যতা নিশ্চিত করে উজিরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি অসিম ঘরামী ও সাধারণ সম্পাদক জালিছ মাহমুদ শাওন বলেন, সংগঠনের নীতি, আদর্শ ও শৃঙ্খলাবিরোধী কাজে জড়িত থাকায় ওই চারজনকে দল থেকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। সেইসঙ্গে জেলা ছাত্রলীগের কাছে তাদের প্রত্যেককে স্থায়ীভাবে বহিস্কারের অনুরোধ করা হয়েছে। তবে সুনির্দিষ্ট কী কারণে ওই চার ছাত্রলীগ নেতাকে একসাথে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে সে বিষয়ে তারা কোন মন্তব্য করেননি।
উপজেলা ছাত্রলীগের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর পর ফেসবুকে তার ছবিসংবলিত সংবাদ কার্ড শেয়ার করেন ওই চার ছাত্রলীগ নেতা। সেখানে আপত্তিকর কিছু বিষয় থাকায় পোস্টগুলোর স্ক্রিনশট দিয়ে নেতাদের কাছে উপস্থাপন করে বহিস্কারের দাবি তোলেন অন্য নেতাকর্মীরা। যদিও সূত্রটি জানিয়েছে পোস্ট করার একদিন পর আবার সেই পোস্ট ডিলেট করেন ওই চার ছাত্রলীগ নেতারা। বহিস্কৃতদের মধ্যে বামরাইল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান শান্ত বলেন, গত ১৪ আগস্ট বিএনপি ও জামায়াত নেতারা দেলোয়ার হোসেন সাঈদির মৃত্যু নিয়ে আওয়ামী লীগ ও সরকারকে দোষারোপ করে বিভিন্নভাবে মিথ্যা অপপ্রচার করেন। পরে আমি সত্য ঘটনা জেনে ওই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ফেসবুকে নিজের আইডি থেকে সাঈদীর মৃত্যু হার্ট-অ্যাটাকে হয়েছে এ-সংক্রান্ত একটা পোস্ট শেয়ার করেছিলাম। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় আমি পোস্টটি ডিলেট করে উপজেলা ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের কাছে ক্ষমাও চেয়েছিলাম। তারপরেও দল যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা মাথা পেতে নিয়েছি। শান্ত আরও বলেন, আমার পরিবারের সবাই আওয়ামী লীগের নিবেদিত কর্মী। যতোদিন বেঁচে থাকবো নৌকার কর্মী হয়েই থাকবো।