উচ্চপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের বক্তব্য থানা আওয়ামী লীগের সম্পাদকের মতো বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, গত শনিবার নাকি উচ্চপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের একটি বৈঠক হয়েছে। সেখানে একজন কর্মকর্তার বক্তব্য ভাইরাল হয়েছে তার বক্তব্য শোনার পর মনে হয়েছে উনি কি পুলিশের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা? নাকি মোহাম্মদপুর, শাহবাগ থানা, আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক। আমি এটির কোনো পার্থক্য করতে পারিনি। দেশের গণতন্ত্র পুলিশি অনুমতির কাছে বন্দি। রোববার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী তাঁতীদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় তাঁতী দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক রেজাউল করিম রানার মুক্তির দাবিতে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এটি রাষ্ট্রের বাহিনী। জনগণের টাকায় তাদের বেতন দেওয়া হয়। জনগণের টাকায় এরা বাড়ি ভাড়াসহ সব সুযোগ-সুবিধা পায়।সাবেক এ ছাত্রনেতা বলেন, যারা স্লোগান দেন যারা মিছিল করেন যারা সমাবেশ করে যারা এ অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনা করে যারা এক দলীয় প্রহসনের নির্বাচনের সমালোচনা করে তাদের শত্রু মনে করেন শেখ হাসিনা। এ কারণে আজকে মজনু জেলে, নিরব জেলে, মোনায়েম মুন্না জেলে, হাবিব জেলে, গোলাম মওলা শাহীন জেলে, কয়েকবারের এমপি সালাউদ্দিন আহমেদ কারাগারে বন্দি, আজকে মুসাব্বির কারাগারে অন্য কোনো কারণ নেই। বিএনপি নেতারা কারাগারে কেন সরকারের কাছে এমন প্রশ্ন রেখে দলটির এ শীর্ষ নেতা বলেন, কই জুয়াড়ি ক্যাসিনোর মালিকরা তো আজকে কারাগারে নেই? যারা সন্ত্রাস করেছে বিশ্বজিৎকে কুপিয়ে হত্যা করেছে তারা কেন কারাগারে নেই? কেন বিচার হয় না আবরার হত্যার? আজকে কেন তানভীর আহমেদ রবিনকে এভাবে ধাওয়া করে তার ওপর একদম ঝাঁপিয়ে পড়ে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হল। প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে বিএনপির সভা সমাবেশে যে প্রশাসনের ছত্রছায়ায় যুবলীগের ছাত্রলীগের নেতারা হামলা চালায় কেন তাদের গ্রেপ্তার করা হয় না? তিনি বলেন, শুধু বিএনপি নয় বিএনপিসহ সমমাননা দলগুলো কারো স্বাধীনভাবে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগ এবং গণতন্ত্র কখনো একসঙ্গে যেতে পারে না। ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধা আওয়ামী লীগ কখনও শেখেনি। তাদের জন্ম থেকেই তারা গুন্ডা পাণ্ডাদের ভালোবেসেছে।রিজভী আরও বলেন, গোটা বিশ্ব থেকে আওয়ামী লীগ সরকার বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। কেউ নেই। হয়তো দু একটা দেশ থাকতে পারে সেখানে তারা খুব হাত পা ধরছেন কাকুতি-মিনতি করছেন তারা যেমনভাবে চান সেভাবে ক্ষমতা যেন তাদের রাখা হয়। এরকমই শোনা যায় আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী মন্ত্রী উনি পার্শ্ববর্তী দেশের কলকাতার সাংবাদিকদেরকে নাকি ২ টন ইলিশ মাছ পাঠিয়েছেন আমরা জানি না এ ঘটনা কতটুকু সত্য এরকম জনশ্রুতি আছে। জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু ও বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম উপস্থিত ছিলেন।