পুঠিয়ায় চার্জারভ্যান চালক আবদুল কুদ্দুস আলী কালুর হত্যার চাঞ্চল্যকর রহস্য তিন মাস অতিবাহিত হলেও থানা পুলিশ এখনো বাহির করতে পাড়িনি। হত্যার রহস্য বাহির না হওয়ায় এলাকার সাধারণ মানুষ আশংকায় রয়েছেন। ভ্যান চালকের যাত্রী পুঠিয়া রাজবাড়ি বাজারের সবজি বিক্রেতা আবদুল আওয়াল ওই দিনের নিশংস হত্যাকান্ডের স্মৃতি এখনো বইয়ে বেড়াচ্ছেন। সেদিন সঙ্গে থাকা টাকা দিয়ে সে প্রাণ ভিক্ষা পেয়ে ছিলেন। নিহত ভ্যানচালক কালুর বাড়ি চারঘাট উপজেলার নন্দনগাছি এলাকায়। ২১শে মে ভোর সাড়ে চারটার দিকে উপজেলা জিউপাড়া ইউনিয়নে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের গাঁওপাড়া বাজারের পাশে এ ঘটনা ঘটে। সবজি বিক্রেতা আবদুল আওয়াল বলেন, কোনো সময়ে আমার মনের ভেতরে খুনের কথা মনে হলে আমি অসুস্থ হয়ে পরি। আমি কালুকে নিয়ে প্রায়দিন বিভিন্ন আড়তে কাচাঁমাল কিনার জন্য যেতাম। ওাই দিন নাটোর তেবাড়িয়া হাটে যাচ্ছিলাম। পথে গাঁওপাড়া বাজারের কাছে পৌঁছামাত্র তিনজন অপরিচিত লোক তাদের পথরোধ করেন। এ সময় দুর্বৃত্তরা তাদের দুজনকে ধারালো অস্ত্র দেখায়ে সড়কের পাশের একটি ফাঁকা জমিতে নিয়ে যায়। এরপর কালুর কাছে ভ্যানে চাবি চাইলে সে চাবিটি দুরে ছুড়ে ফেলে দেয়। এতে তারা ক্ষীপ্ত হয়ে কালুর চোখ হাত-পা বেঁধে ফেলে। এরপর ছুরি দিয়ে তাকে জবাই করে হত্যা করে। আমার নিকট থাকা টাকা কেড়ে নেয়। আমি কান্নাকাটি শুরু করলে, তারা আমার প্রাণ ভিক্ষা দিয়ে হাত-পা বেধে রেখে চলে যায়। গাঁওপাড়া এলাকার আক্কাস আলিসহ একাধিক ব্যক্তিরা বলেন, হত্যার ঘটনাটি ঘটার পরও মাঝেমধ্যেই সড়কে হুট করে ছোটখাটো ছিনতাই করে দ্রুত চলে যাচ্ছে। পুলিশের গাফিলতির জন্য এ ঘটনাগুলি ঘটছে। চলন্ত সড়ক হওয়ার জন্য মানুষ থানায় এসে অভিযোগ দেয় না। পুঠিয়ার আনাচেকানাচে মাদককারবারিদের সংখ্যা বৃদ্ধি হওয়ার জন্য অপরাধগুলো বেশি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে পুঠিয়া থানার ওসি তদন্ত এবং কালু হত্যার তদন্তকারি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা হত্যাকান্ডটির রহস্য বাহির করার জন্য অপপ্রান চেষ্টা করে যাচ্ছি। তারপর, থানা পুলিশ বাদেও আইনশৃঙলা বাহিনীর অন্য সদস্যরা তৎপর রয়েছেন।