আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের কুঁন্দুড়িয়া-বাকড়া ব্রীজের কাছে রাস্তার স্লোবে কোন রকমে ছুবড়ি ঘর বেধে মাথা গোজার ঠাঁই করে নিয়েছে ৬টি পরিবার। রোদ-বৃষ্টি-বাদলে চরম অমানবিক জীবন যাপন করে দীর্ঘ ২ বছর কাটালেও সরকারি সহায়তার বাসগৃহ ও খাস জমি তাদের জীবনে জোটেনি।
কওছার সরদারের ছেলে রিপন সরদার, মইনুর সরদারের ছেলে রাজু সরদার, মৃত সাকাত সরদারের ছেলে আলমগীর, মৃত হারান সরদারের ছেলে ইজ্জত, মৃত কাদের সানার কন্যা রাবেয়া, জিয়া উদ্দীন গাজীর ছেরে আক্তারুল মরিচ্চাপ নদী ভরাটি চরে ঘর বেধে বসবাস করতেন। নদী খননের সময় তাদের ঘরবাড়ি ও সামান্য খাস জমি থেকে উচ্ছেদ করা হয়। তখন কোন দিশা না পেয়ে তারা পাশের ব্রীজ টু গাজীরমাঠ রাস্তার স্লোবে (যার পেছনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের খাস জমিতে জলাশয়) কোন রকমে ছোবড়া ঘর বেধে বসবাসের ঠাঁই করে নেয় তারা। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি রাস্তার থেকে গড়ে তাদের ঘরের উপর দিয়ে জলাশয় বা মাছের ঘেরে গিয়ে পড়ে। আবার ঘেরের পানি বৃদ্ধি পেলে ঘরের মধ্যে গিয়ে ওঠে। এমন পানির আক্রমণ এবং ঘর-বৃষ্টি-রোদের আক্রমনে তারা ছোট্ট ছোট্ট ঘরে বাধ্য হয়ে বসবাস করে আসছেন দীর্ঘ ২ বছর। পাশের পাউবো’র খাস জমি তাদেরকে দিলে সেখানে মাটি ভরাটি দিয়ে ঘর বেধে ও মাছ চাষ করে তারা হয়তবা সুখের পথ দেখতে পারতো। না হয় কোন খাস জমি তাদের বরাদ্দ দিয়ে বসবাসের ঘর নির্মানের উদ্যোগ নিলে তারা জীবনের অমানিশার হাত থেকে হয়ত আলোর দিশা পেতে পারতো। এ ব্যাপারে মাননীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ইউপি চেয়ারম্যান এর সদয় দৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগি পরিবারের সদস্যরা।