কৃষি ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃত পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার ভাসমান বেডে সবজি চাষ। এ উপজেলার কৃষকরা দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় প্রযুক্তিতে বিলাঞ্চলের পানিতে ভাসমান পদ্ধতিতে ফসলের চারা উৎপাদন ও সবজি চাষ করে আসছেন। কোনো ধরনের রাসায়নিক সার ব্যবহার ছাড়াই জৈব সার ব্যবহার করে এ পদ্ধতিতে চারা উৎপাদন ও সবজি চাষ ক্রমান্বয়ে সারা দেশের কৃষক ও কৃষি গবেষকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
রোববার (২০ আগস্ট) দুপুরের পর এ ভাসমান বেডে সবজি চাষ পরিদর্শন শেষে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার। স্থানীয়ভাবে জানা যায়, উপজেলার নিম্নাঞ্চলের অনেক স্থানে এ পদ্ধতিতে বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ হচ্ছে। এতে প্রথমে কচুরিপানা একত্র করে ধাপ তৈরি করা হয়। ধাপের ওপর চাষ করা হয় শশা, লাউ, কুমড়া, শিম, বরবটি, ঢেঁড়স, চিচিঙ্গা, টমেটো, বাঁধাকপি, ফুলকপি, হলুদ, মরিচসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি ও মসলা। এ উপজেলার দেউলবাড়ী, কলারদোয়ানিয়া ও মালিখালী ইউনিয়নে এ পদ্ধতিতে চাষাবাদ হয়। ভাসমান বেডে সবজি চাষে আধুনিক প্রযুক্তি যোগ করে তা আরও লাভজনক করার লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বরিশাল অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. শওকত ওসমান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. বিমল চন্দ্র কু-ু, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপণ্ডপরিচালক ড. মো. নজরুল ইসলাম সিকদার, নাজিরপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ঈশরাতুন্নেছা এশাসহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তারা। এদিন মাঠ পর্যায়ে চাষিদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন মো. রুহুল আমিন তালুকদার। চাষিদের বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে জানাসহ এর সমাধানের বিষয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি। এ ছাড়া চাষিদের উন্নয়নে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের এ অতিরিক্ত সচিব।