ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রেনেড হামলা দিবস উপলক্ষে পালিত হয়েছে। সোমবার সকালে প্রশাসন ভবন চত্বর হতে এক প্রতিবাদ র্যালি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালে শেষ হয়। র্যালি শেষে মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাঁচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম, উপণ্ডউপাঁচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান,কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া।
এছাড়া তথ্য, প্রকাশনা ও জনসংযোগ অফিসের ডাইরেক্টর (ইন-চার্জ) ড. আমানুর আমানের সঞ্চালনায় সভায় রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ. এম. আলী হাসান, ১৫ ও ২১ আগস্ট উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও প্রক্টর প্রফেসর ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বক্তব্য রাখেন।
উপাঁচার্যের শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিট, শাপলা ফোরাম, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, সাদ্দাম হোসেন হল এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ইবি শাখার পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আইভি রহমানসহ নিহত সকলের প্রতি শ্রদ্ধাজানিয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন এবং তাঁদের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাঁচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তৎকালীন রাষ্ট্রপ্রধানদের প্রত্যক্ষ মদদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে গ্রেনেড হামলা করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ যেন এদেশে আর বাস্তবায়ন না হতে পারে সেজন্য সেদিন জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
উপাঁচার্য বলেন, সেদিনের সেই ভায়াবহ গ্রেনেড হামলা আমি স্বচক্ষে দেখেছি। যা ভাবতে গেলে আজও বুক কেঁপে উঠে। তিনি বলেন, এদেশের সকল উন্নয়নের বীজ বপন করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু। জননেত্রী শেখ হাসিনা সেই উন্নয়ন বাস্তবায়ন করে চলেছেন। এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে মুজিব আদর্শের সকল সৈনিকদের এক এবং ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।